সোশ্যাল মিডিয়ায় তৎপর কেএনএফ: ছড়ানো হচ্ছে মিথ্যে তথ্য!

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৫০, শনিবার, ৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

নিরীহ কোনো মানুষই প্রশাসনিক হয়রানির শিকার হননি। জনসাধারণ চলাচলেও দেয়া হয়নি কোনো নিষেধাজ্ঞা। বরং পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে কুকিদের গুলিতে প্রাণ হারাতে হয়েছে সেনা সদস্যদের।

কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটির কর্মকাণ্ডে কদিন আগে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে পার্বত্য অঞ্চল। পরপর নজিরবিহীন কিছু ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বান্দরবানসহ গোটা পাহাড়ি জনপদে, যদিও পুলিশ-র‌্যাব-সেনা তথা যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযানে পিছু হটতে বাধ্য হয় কুকিরা। তবে এবার সোশ্যাল মিডিয়াকে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়ে নিজেদের প্রতি সহানুভূতি আদায় ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিষোদগার ছড়াতে শুরু করে সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠীটি।

কেএনএফ এর মিথ্যাচার:

‘কেএনএফ’র সঙ্গে যুদ্ধে পানখিয়াং পাড়াবাসীদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ সেনাবাহিনী।’ সেনাবাহিনী যুদ্ধ করবে কুকিদের সঙ্গে। নিরপরাধ নারী-শিশুদের সঙ্গে নয়। এটা রাষ্ট্র বাহিনীর ব্যর্থতা।’

সেনাবাহিনী যাদের গ্রেফতার করেছে তারা কেএনএফ'র কেউ নন। ‘গর্ভবতী মা আর শিশু গ্রেফতার শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘন বা যুদ্ধাপরাধ নয়; রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক অধ্যায়ও।’ নিজেদের ফেসবুক পেজে এভাবেই লাগাতার গুজব ছড়াচ্ছে কেএনএফ। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে আনা তাদের এসব অভিযোগের কোনো সত্যতাই মেলেনি।

আলোচনার শুরু যেখানে:

তথ্য বলছে, এপ্রিলের শুরুতে রুমা-থানচিতে কয়েকটি ব্যাংকে লুট চালায় কুকি সন্ত্রাসীরা। এরপরই সাঁড়াশি অভিযানে কেনএনএফ’র উপদেষ্টা লিয়ান সিয়াম বমসহ অর্ধশতাধিক সদস্যকে আইনের আওতায় আনে স্থানীয় প্রশাসন। নিরীহ কোনো মানুষই প্রশাসনিক হয়রানির শিকার হননি। জনসাধারণ চলাচলেও দেয়া হয়নি কোনো নিষেধাজ্ঞা। বরং পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে কুকিদের গুলিতে প্রাণ হারাতে হয়েছে সেনা সদস্যদের। তবু নিরলস কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা।

অথচ সেই বাহিনীকে নিয়েই নিয়মিত ভুয়া তথ্য প্রচারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৎপর কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট। একই সঙ্গে হুমকিও দেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি যৌথ বাহিনীর উদ্দেশ্যে কেএনএফ লিখেছে- ‘তোমরা ক্ষুব্ধ হয়ে এভাবে নিরীহ জনগণের ওপর অসহনীয় নির্যাতন চালালে অভিযান সফল হবে না। বরং রাষ্ট্রই ক্ষতি হবে।’ মূলত সংগঠনটি ফেসবুকে এ ধরনের গালগল্পমূলক পোস্টের মাধ্যমে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সহানুভূতি আদায়ের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, কুকিচিনরা আগে থেকেই কোণঠাসা। সংখ্যায়ও কম। এজন্য অস্ত্র দিয়ে প্রভাব দেখাতে চাইছে তারা। কিন্তু যৌথ বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকায় সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। তাই কোনো ধরনের শক্তিতে না পেরে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ইচ্ছেমতো বিভিন্ন বাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে এই গোষ্ঠী। তবে এখনকার মানুষ সচেতন হওয়ায় তাদের এসব কর্মকাণ্ডও ভেস্তে যাবে বলেও মনে করেন কেউ কেউ।

দিনবদলবিডি/Mamun

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়