চট্টগ্রামে অক্সিজেন প্ল্যান্টে উদ্ধার অভিযান শেষ

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৪১, রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩, ২০ ফাল্গুন ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে।

রোববার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হোসেন উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন,আমরা এখানে আর দুর্ঘটনার শঙ্কা করছি না। তবুও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি, কাউকে আশপাশে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। দুর্ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ও হতাহতদের জন্য সহায়তা কেন্দ্র এবং কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার প্ল্যান্টে অগ্নিনিরাপত্তা ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কি-না সে বিষয়ে তদন্ত করে জানানো যাবে। 

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হয়। আর কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৩ জন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল (কেশবপুর) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। গত বছরের ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোতে আগুন থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এতে ৫১ ব্যক্তি নিহত হন, আহত হন দুই শতাধিক। বিএম ডিপো থেকে সীমা অক্সিজেনের দূরত্ব আধা কিলোমিটার।

নিহত হলেন সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট বাংলাবাজার এলাকার মৃত আবুল বাশারের ছেলে মো. ফরিদ (৩২), কদমরসুল এলাকার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে শামসুল আলম (৬৫), নেত্রকোণার কমলাকান্দা উপজেলার ছোট মনগড়া গ্রামের মিকি রোঙ্গি লখরেকের ছেলে রতন লখরেক (৪৫), নোয়াখালীর মাইজদী থানার অলিপুর গ্রামের মকবুল আহমেদের ছেলে আবদুল কাদের (৬০) ও লক্ষ্মীপুরের কমলনগর এলাকার মফিজল হকের ছেলে সালাহ উদ্দিন (৩৫) সেলিম রিচিল (৩৮)।

জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় নিহতদের পরিবার প্রতি ২৫ হাজার টাকা প্রদান করবে। এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে নিহতদের পরিবার প্রতি ২৫ হাজার, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবার প্রতি দুই লাখ এবং আহতদের পরিবার প্রতি ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। আহতদের  প্রতি পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে ৭৫০০ টাকা প্রদান করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে। কমিটিতে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসি ল্যান্ড), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি ও বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়েছে।

তবে কী কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার আগে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে না।

দিনবদলবিডি/Jannat

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়