ইতালি যেতে আগ্রহীদের জন্য ৬ জরুরি নির্দেশনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:৫৩, সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩, ২১ ফাল্গুন ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

ইউরোপের বাইরে থাকা কতজন অভিবাসী কাজের ভিসায় ইতালিতে আসতে পারবেন, সেটি নিয়ে প্রতি বছর নির্দেশনা জারি করে দেশটির সরকার। চলতি বছরে সিজনাল (মৌসুমি) ও স্পন্সর ভিসায় অভিবাসীদের দেশটিতে কাজের অনুমতি (ওর্য়াক পারমিট) দিতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে ইতালি।

‘দেক্রেতো ফ্লুসি’ নামে পরিচিত এই বিজ্ঞপ্তিতে ৮২ হাজার ৭০৫ জন অভিবাসীকে ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি সরকার। প্রতি বছর বহু বাংলাদেশি এই ভিসায় ইতালিতে আসার চেষ্টা করে থাকেন।

নতুন নির্দেশনার আওতায় ইতালিতে আসতে আগ্রহীরা আগামী ২৭ মার্চ থেকে আবেদন করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়া চলবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাই আবেদনকারীদের দেশটিতে মৌসুমি ভিসা (সিজনাল) এবং নিয়মিত ভিসায় (নন-সিজনাল) আবেদনের বিষয়ে কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস।

জরুরি নির্দেশনাগুলো হলো:

১। ইতালিতে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশটিতে বসবাসরত নিয়োগকারীরা সরকারের নির্ধারিত কর্মসংস্থান কেন্দ্র থেকে অনাপত্তি সনদ গ্রহণ করে বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন করতে হবে। এবারের ফ্লুসিতে ইতালিতে বসবাসরত কর্মহীন বা উপযুক্ত কর্মীরা নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমে সুযোগ পাবেন। এ ধরনের দকর্মীর সংস্থান না হলে কেবল তখনই প্রতিষ্ঠানগুলো ইতালির বাইরে থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবে।

নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত পাবলিক ডিজিটাল আইডেন্টিটি সিস্টেমে (এসপিআইডি) ইমেইল করতে হবে। ইমেইলে নিয়োগকারী যাকে নিয়োগ করতে চান, তার নাম, পাসপোর্ট ও অন্য তথ্য উল্লেখ করে ইতালির স্থানীয় প্রশাসনিক অফিসে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করবে। এই আবেদনের জন্য নিয়োগকারীর ১৬ ইউরো বা সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা খরচ করতে হবে। তবে আবেদন দাখিলের জন্য ইতালির কোনো হেল্প ডেস্কের সহায়তা নিলে তার জন্য সার্ভিস চার্জ বাবদ একটি ফি পরিশোধ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ৩০০ ইউরো পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আবেদনের জন্য এ ছাড়া আর কোনো খরচ নেই।

২। নিয়োগকারীর আয় ও অন্য বিষয়াদি বিবেচনা করে যোগ্য বিবেচিত হলে যে ব্যক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে, তার নামে একটি ছাড়পত্র ইস্যু করবে স্থানীয় প্রশাসনিক অফিস। পরে এই ছাড়পত্রটি বাংলাদেশে ওই ব্যক্তির কাছে পাঠাতে হবে।

৩। যার নামে ছাড়পত্র ইস্যু হয়েছে, তিনি এই ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকার ইতালিয়ান দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করবেন।

৪। ভিসা নিয়ে ইতালিতে এসে নিয়োগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয় প্রশাসনিক অফিসে ছাড়পত্রের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করবেন।

৫। কাজের চুক্তি না করলে এবং ছাড়পত্র দেখাতে না পারলে শুরু থেকেই ওই ব্যক্তি দেশটিতে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবেন।

৬। যারা আগে আবেদন দাখিল করতে পারবেন তাদের আবেদন আগে বিবেচনা করা হবে।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়