বাংলাদেশের কাছে বিশ্বব্যাংকের ক্ষমা চাওয়া উচিত

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ রাত ১১:২১, রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২, ৫ আষাঢ় ১৪২৯
পদ্মা সেতু

পদ্মা সেতু

অর্থনীতিবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি (বিইএ) বলেছে, বিশ্বব্যাংক কথিত দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতুতে বরাদ্দ বাতিল করেছিল। তারা বাংলাদেশকে নতজানু করে রাখতে প্রতিশ্রুত ঋণচুক্তি বাতিল করে। এখন বিশ্বব্যাংকের উচিত বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

শনিবার (১৮ জুন) অর্থনীতি সমিতির অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত ‘নিজ অর্থে পদ্মা সেতু: একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন’ শীর্ষক নিবন্ধে সমিতি এ মন্তব্য করে।

সব ষড়যন্ত্র ও কথিত দুর্নীতির অভিযোগ উপেক্ষা করে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দনও জানানো হয় সমিতির পক্ষ থেকে।

সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নিবন্ধ তুলে ধরেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।

এ সময় বিইএর পক্ষ থেকে পদ্মা সেতুর বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।

নিবন্ধে বলা হয়, ‘দেশের নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ যে সম্ভব, সে কথা অর্থনীতি সমিতি প্রথম ২০১২ সালের ১৯ জুলাই বিস্তারিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ উত্থাপন করে। সে জন্য অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকেও অভিনন্দন জানানো হয়।’

সমিতি বলছে, ‘২০১২ সালের ২৯ জুন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর ঋণচুক্তি বাতিল করে দেয়ায় বাংলাদেশের তীব্র ভাবমূর্তি সংকটকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দেন। তখন দেশের অধিকাংশ অর্থনীতিবিদ, সমাজবিদ, রাষ্ট্রচিন্তক, রাজনীতিবিদ সন্দেহ-সংশয়-বিদ্রূপ করছিলেন। তখন অর্থনীতি সমিতির ব্যানারে অধ্যাপক বারকাতের ‘নিজ অর্থে পদ্মা সেতু’ গবেষণা ও বিস্তারিত তথ্য‑উপাত্ত তুলে ধরা জাতিকে যথেষ্ট আশান্বিত করেছিল।’

নিবন্ধে বলা হয়, ‘২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার ইচ্ছা এবং অধ্যাপক বারকাতের উপস্থাপিত তথ্য‑উপাত্ত‑বক্তব্যকে অধিকাংশ মানুষ পাগলের প্রলাপ, আকাশ কুসুম কল্পনা আর ঘোরের মধ্যে স্বপ্নের ফানুস ওড়ানো বলে মন্তব্য করেছিল। এমনকি বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনতে নিজস্ব অর্থায়নের হিংস্র বিরোধিতাও করেছিল। সব প্রতিকূলতা ছাপিয়ে পদ্মা সেতু বর্তমানে দৃশ্যমান এক বাস্তবতা।’

এতে আরো বলা হয়, ‘নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণকে বাস্তবে রূপ দেওয়ায় বাংলাদেশকে আরো একবার বিজয়ের আনন্দ এনে দিয়েছে। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হাতে-কলমে আবারও তার সামর্থ্য প্রমাণ করে দিয়েছে- যেমনটি বাংলাদেশ আরেকবার করেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে। নেতৃত্বের দৃঢ়তা, স্বকীয়তা ও দূরদর্শিতায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের মূর্ত প্রতীক হচ্ছে পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান বাস্তবতা।’

দিনবদলবিডি/Md. Rahat Hossain

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়