পদ হারানো রাহুলের পাশে দাঁড়ালেন মমতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
অতীতের তিক্ততা ভুলে ভারতের পার্লামেন্ট লোকসভার সদস্যপদ হারানো রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার রাহুলের পার্লামেন্ট সদস্যপদ বাতিলের কিছুক্ষণের মধ্যে একটি টুইটবার্তা দেন মমতা, তাতে সেই আভাসই পাওয়া গেছে।
টুইটবার্তায় রাহুল গান্ধীর নাম নেননি মমতা, তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির কঠোর সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী।
মমতা টুইটে লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির নতুন ভারতে বিরোধী নেতারাই বিজেপির মূল নিশানা হয়ে উঠেছেন। যখন অতীত অপরাধের রেকর্ড থাকা বিজেপি নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, তখন বিরোধী নেতাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে কেবল ভাষণ দেওয়ার জন্য! আজ গণতন্ত্র নতুন নীচতায় পৌঁছাল।’
কংগ্রেস ও তৃণমূল— উভয়ই বিজেপি বিরোধী দল হলেও দু’দলের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। গত বছরের মাঝামাঝি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গোয়া’র বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে এই টানাপোড়েনের সূত্রপাত। পরে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেস জোট করার পর আরও তিক্ত হয়েছে দু’দলের মধ্যকার সম্পর্ক।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের কালীঘাট এলাকায় এক বৈঠকে কংগ্রেস নিয়ে তৃণমূল ‘নীতি’ স্থির করে। রাহুল গান্ধীকেও সরাসরি আক্রমণের পথে গিয়েছে তৃণমূল। সংসদে কংগ্রেস এবং কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ বিরোধী দলগুলির বৈঠকেও দেখা যায়নি তৃণমূলকে। মোদী বিরোধী পরিসরে নিজের মতো করেই ‘একলা’ আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু লোকসভার স্পিকার রাহুলের সাংসদপদ খারিজ করতেই তিক্ততা ভুলে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন মমতা।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে রাহুল প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘সব চোরেদের পদবি ‘মোদি হয় কেন?’ আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদি, ব্যাঙ্ক-ঋণ মামলায় ‘পলাতক’ নীরব মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুলনা টেনেছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে ‘পদবী অবমাননার’ অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় অপরাধমূলক মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাতে বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদী।
শুক্রবার সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল। গুজরাটের একটি আদালত তাকে দু বছর কারাবাসের সাজা দেয়।
সাজা ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পার্লামেন্ট লোকসভার সদস্যপদও হারান কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। শুক্রবার লোকসভার স্পিকারের দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)’র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করা হল।’
দিনবদলবিডি/Rony