সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে মা-ছেলের আর্তনাদ

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:২২, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩, ২১ চৈত্র ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

দীর্ঘদিনে অল্প অল্প করে জমানো টাকা ১৭ বছর আগে একমাত্র ছেলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তাজুন্নেসা বেগম। তা দিয়ে ছেলে কামরুজ্জামান রনি বঙ্গবাজারের মহানগর কমপ্লেক্সে একটি ছোট্ট দোকানে শুরু করেছিলেন পাইকারী পোশাক ব্যবসা।

মায়ের জীবনের সঞ্চয়ের মূলধনে শুরু করা রনি দোকানের নাম দিয়েছিলেন তাজ ফ্যাশন। ১৭ বছর ধরে এই দোকানটিই রনির পরিবার সামলে উঠার একমাত্র অবলম্বন। অসুস্থ বাবার চিকিৎসাও চলছিল এর আয় থেকে।

মঙ্গলবারের আগুনে এই একটি মাত্র দোকান হারিয়ে রনি হতবিহ্বল। খবর পেয়ে পথে বসা ছেলের কাছে ছুটে এসেছেন মা তাজুন্নেসা। খোলা আকাশের নিচে বসে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের বিলাপ করতে করতে কিছুক্ণ পর পর চোখ মুছছিলেন তিনি, তা দেখে ঢুকরে কেঁদে চলছিলেন রনি।

বঙ্গবাজারে অধিকাংশ দোকানি বাকিতে ব্যবসা করলেও রনির গল্পটা ব্যতিক্রম। বাকির ব্যবসা পছন্দ নয় তার। তাই নিজ দোকানে অন্য সিজনের মতো ঈদকে সামনে রেখে নগদ ১৬ লাখ টাকার পোশাক মজুত করেছিলেন তিনি।

রনি বলেন, ‘ভাই এই একটা সিজনই ব্যবসা হয়। রোজার এই কয়দিন বেচা-বিক্রি নাই। সোমবারই ১৬ লাখ টাকার মাল তুলছি। সব নগদ টাকায়। ভাবছি ১৮-২০ রোজা থেইক্কা মার্কেট জমবো। কিন্তু আমার এ কি সর্বনাশ হইলো!

‘আমার মায়ের জমানো টাকা দিয়া ব্যবসা শুরু করছিলাম। আমার বাপটা বিছানায় পড়া। আর কোনো ইনকাম নাই আমাগো। কে দেখবো এখন আমার ঘর?’

রনি জানান, আশপাশের দোকানিদের সহযোগিতায় ২০ শতাংশ মালামাল উদ্ধার করতে পেরেছেন। বাকি সবই পুড়ে ছাই হয়েছে তার।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়