কওমি শিক্ষার্থীদের লেখালেখি প্রশিক্ষণ দিলো তামরিন ইনস্টিটিউট

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:০৪, বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩, ২৯ চৈত্র ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

প্রতিবারের ন্যায় এবারও ২০ দিনব্যাপী ভাষা-সাহিত্য-সাংবাদিকতা বিষয়ক লেখালেখি কর্মশালার আয়োজন করেছে কওমি ভিত্তিক সংগঠন তামরিন ইনস্টিটিউট। প্রথম রোজা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মশালা রাজধানীর হাজারীবাগে মাদরাসাতুল ইনসাফের নিজস্ব ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের প্রখ্যাত কবি, গবেষক ও লেখকরা প্রশিক্ষণ প্রধান করেন।

কর্মশালার সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ বি এম রেজাউল করিম ফকির বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কওমি মাদরাসায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে, বেড়েছে ভাষা-সাহিত্যের চর্চা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভাষা-সাহিত্য-সাংবাদিকতার অঙ্গনে লক্ষণীয় পরিবর্তন আসবে।

এবারের আয়োজনে অতিথি ও প্রশিক্ষক হিসেবে যারা ছিলেন- উবায়দুর রহমান খান নদভী, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক); অধ্যাপক ড. এ বি এম রেজাউল করিম ফকির, পরিচালক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সাইমুম সাদী, গল্পকার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট; মুসা আল হাফিজ, কবি, দার্শনিক ও গবেষক; ড. শহীদুল ইসলাম ফারুকী, সভাপতি, জাতীয় লেখক পরিষদ ও লেকচারার, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ; আলী হাসান তৈয়ব, বিভাগীয় সম্পাদক, দৈনিক নয়া শতাব্দী; হানিফ আল হাদী, প্রবন্ধকার, অনুবাদক, ভাষা প্রশিক্ষক; রোকন রাইয়ান, লেখক, ফাউন্ডার, কওমি উদ্যোক্তা; ইমরান মাহফুজ, সাহিত্য সম্পাদক, দ্যা ডেইলি স্টার, ফরাদ হাসান, যুব-আবৃত্তিশিল্পী, বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম— আরো অনেকেই।

তামরিন ইনস্টিটিউট এ ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে ঢাকা ও মফস্বল শহরে সাহিত্যপ্রেমীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। তাদের অনেকেই এখন নিয়মিত বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লিখছে, গণমাধ্যমেও যুক্ত হয়েছে কেউ কেউ।

ভাষা-সাহিত্য-সাংবাদিকতা বিষয়ক লেখালেখি কর্মশালাটি পরিচালনা করেন, তামরিন ইনস্টিটিউটের সিইও ও ভাষাপ্রশিক্ষক শাহাদাত সাদমান। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ভালো লেখক হতে হলে আগে ভালো পাঠক হতে হবে। সবকিছুকেই পড়তে জানতে হবে। বই পড়া, নিউজ পড়া, চারপাশের মানুষকে পড়া, মানুষদের আচরণ পড়া, প্রকৃতি ও সময়কেও পড়তে জানতে হবে। পাশাপাশি লেখা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলেই একজন ভালো মাপের লেখক হওয়া সম্ভব।

তাহরিম আহমাদ নামের একজন শিক্ষার্থী অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, তামরিন ইনস্টিটিউট প্রজ্ঞাবান, নিরহংকার, আন্তরিকতাপূর্ণ বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষককে একত্র করেছে যেখান থেকে জ্ঞানপিপাসু শিক্ষার্থীরা সহজেই তাদের জ্ঞানের তৃষ্ণা মেটাতে পারবে। এ যেন কুয়ার মাঝে সমুদ্রের স্বাদ পাওয়া।

দেশে কওমি শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ কম। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই কওমি শিক্ষার্থীদের ভাষা ও সাহিত্য চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে কর্মশালার আয়োজন করেছে তামরিন ইনস্টিটিউট। ২০ দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে আত-তামরিন নামে একটি ম্যাগাজিন ও একটি দেয়ালিকা প্রকাশ করেন।

কর্মশালার পরিচালক শাহাদাত সাদমান কোর্সটিকে দিন দিন আরো সময়োপযোগী করে তোলার চেষ্টা করছেন। বিশ দিনের একটি কোর্সে যতটুকু দেওয়া যায় তার সবটুকুই পাচ্ছে প্রশিক্ষণার্থীরা। তামরিন ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম সামনে আরো বিস্তৃত হবে বলেও জানান তিনি। শাহাদাত সাদমান বলেন, প্রতিবছর গোলাপ ফুল আঁকা টিনের বাক্স হাতে নিয়ে, রাবারের সেন্ডেল পায়ে দিয়ে, হাজারীবাগে মাদরাসাতুল ইনসাফের স্টেশনে এসে নামবে এ যুগের আল মাহমুদরা।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়