রানা প্লাজা ধস: যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ‘প্রারম্ভিক দিবস’র প্রস্তাব

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:০৬, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনার এক দশক উপলক্ষে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে একটি ‘প্রারম্ভিক দিবস’র প্রস্তাব আনা হয়েছে। এতে সমর্থন জানিয়ে ১৬ জন পার্লামেন্ট সদস্য এরই মধ্যে সইও করেছেন।

গত ২০ এপ্রিল প্রস্তাবটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করেছিলেন লেবার পার্টির সদস্য ও ইস্ট হ্যামের এমপি স্যার স্টিফেন টিমস, যেটি যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সম্প্রদায়গুলোর একটি। 

প্রস্তাবে বলা হয়, বিশ্বের ইতিহাসে রানা প্লাজা ধস তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা। দশ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের শত শত পরিবার এখনও এর পরিণতি বয়ে চলছে। এ দুর্ঘটনায় অসংখ্য ক্ষতিগ্রস্তদের কথা স্মরণ করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ পোশাক খাতে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি নিরাপত্তা ও টেকসই অবস্থা সৃষ্টিতে যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের ১৮৭টি লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন- লিড সার্টিফায়েড গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ এক শ লিড ফ্যাক্টরির অর্ধেকই বাংলাদেশে। এছাড়া শ্রমিক ও পরিবেশের জন্য মানসম্মত ব্র্যান্ড ও কারখানা নিশ্চিতে সব দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে এই প্রস্তাবে।

উল্লেখ্য, রানা প্লাজা ধস কেবল বাংলাদেশকেই নয়, বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। দেশের ইতিহাসে মানবসৃষ্ট সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় ছিল এটি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ এই তৈরি পোশাক শিল্প খাতে এমন মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলা সরকারের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু সরকারের যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে স্বল্প সময়েই ঘুরে দাঁড়ায় এই খাত। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখে স্বজনহারা মানুষ।

এরই ধারাবাহিকতায় শ্রমিকদের মজুরি ২০০ ভাগ বৃদ্ধি, শ্রম আইনের যুগোপযোগী সংশোধন, ঝুঁকিপূর্ণ গার্মেন্টস ভবন চিহ্নিত ও অপসারণ, শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, শ্রম আইন সংশোধন ও শ্রম বিধিমালা জারির মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থাসহ এ খাতের নানান সংস্কার করে সরকার। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ এই শিল্প খাত সরকারের যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত ও কার্যকর পদক্ষেপে ঘুরে দাঁড়ায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ও গার্মেন্টস মালিকদের গৃহীত পদক্ষেপে তৈরি পোশাক খাতে দেশের কারখানাগুলো সবুজ কারখানার মানদণ্ডে বিশ্বে এগিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের হিসাব মতে শীর্ষ ১০০ গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে ৫০টিই বাংলাদেশের। আর সেরা দশের আটটিই বাংলাদেশের। একই সাথে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে নিজের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখেছে।

দিনবদলবিডি/Anamul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়