লাল মরিচে রঙিন পঞ্চগড়

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:২১, সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

  • লাল মরিচে রঙিন হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের ফসলের মাঠ।
  • উচ্চফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের বাঁশগাইয়্যা, বিন্দু, পাবনা, জিরা, হটমাস্টার, কারেন্ট মরিচের চাষ করেছেন চাষিরা।
  •  দূর-দূরান্ত থেকে পাইকাররা বাজারে আসছেন মরিচ কিনতে।

 

পঞ্চগড়ে মরিচ পাকতে শুরু করেছে। তাই লাল মরিচে রঙিন হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের ফসলের মাঠ। চাষিরাও এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মরিচ তোলা আর শুকানোর কাজে। ফলন আর দাম ভালো পাওয়ায় মরিচ চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক। স্থানীয় শ্রমিকদের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে শ্রমিকরাও মরিচ ক্ষেতে কাজ করছেন।

অনুকূল আবহাওয়ায় চলতি মৌসুমে পঞ্চগড়ে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলায় স্থানীয় জাতের মরিচের পাশাপাশি উচ্চফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের বাঁশগাইয়্যা, বিন্দু, পাবনা, জিরা, হটমাস্টার, কারেন্ট মরিচের চাষ করেছেন চাষিরা।

সরেজমিন দেখা যায়, চলতি মৌসুমে পঞ্চগড়ে মাঠের পর মাঠ মরিচের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে পাকতে শুরু করায় মরিচ তুলছেন চাষিরা। বাড়ির উঠানে, ক্ষেতের পাশে ও খোলা বড় বড় মাঠে প্লাস্টিক বিছিয়ে মাটিতে থরে থরে শুকানো হচ্ছে লাল মরিচ। স্থানীয় বাজারগুলোতে মরিচের বেচাকেনা বেড়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে পাইকাররা বাজারে আসছেন মরিচ কিনতে। চলতি মৌসুমে প্রতি মণ শুকনো মরিচ জাতভেদে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকায়। দ্রুত মরিচ শুকিয়ে তা বিক্রি করে নগদ টাকা পাচ্ছেন কৃষকরা।

সদর উপজেলার মরিচ চাষি মোনতাজ আলী বলেন, কয়েক বছর ধরে এনথ্রাকনোজ, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতসহ নানা কারণে চাষাবাদ কমিয়ে দিয়ে এবার ৭০ শতাংশ জমিতে মরিচ চাষ করেছি। তবে খরার কারণে সেচ একটু বেশি দিতে হয়েছে। কিন্তু এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। একই সঙ্গে পাকা মরিচের রঙও হয়েছে টুকটুকে লাল। মরিচের দাম বাজারে যেমনটি আছে, সেটি যেন পুরো মৌসুমজুড়ে চলে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ছোট ছোট পাইকারদের কাছ থেকে শুকনা ও কাঁচা মরিচ কিনে কমিশনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠান তারা। এদিকে শুকনা মরিচ বাজারজাত ও বিভিন্ন বহুজাতিক কারখানায় সরবরাহ করার কাজে সরগরম হয়ে উঠেছে জেলার পাইকারি বাজারগুলো। মান ভালো থাকায় জেলার হাটবাজারগুলো থেকে কৃষকদের কাছ থেকে কেনা এসব মরিচ আড়তদারদের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, এবার খরার কারণে মরিচের আয়ুষ্কাল দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। কৃষকরা অনেকবার করে মরিচ তুলতে পারছেন। তবে সেচ একটু বেশি দিতে হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৮ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। এ থেকে ২২ হাজার ৭১০ মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। তবে চলতি মৌসুমে ৮০০ কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দিনবদলবিডি/Rakib

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়