বড় ভাইয়ের হলেই থাকতে চান আবরার ফাইয়াজ

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৪৮, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২, ৩০ আষাঢ় ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে…

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তির হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। একইসঙ্গে বড় ভাই আবরার ফাহাদের সেই শেরেবাংলা হলেই থাকতে চান তিনি।

বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন ফাইয়াজ। তার ওই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

‌‘পরিবারের সবার মতামতের ভিত্তিতে আমি বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু আপনারা অনেকেই নিজেদের মতামত জানিয়েছিলেন তাই এই ব্যাপারটা আপনাদের জানানো।

সত্যি বলতে, বাসার কেউই সরাসরি IUT or BUET এমন কিছু বলেনি। প্রায় সবাই বলেছে, যেখানে আমার ইচ্ছা সেখানেই ভর্তি হতে। তাই বলা যায়, আমার ইচ্ছা অনুসারেই এখানে ভর্তি হতে চাওয়া।

তবে IUT পরিবেশ আর প্রশাসন সবকিছুই খুবই ভালো লেগেছে আমাদের। বিশেষ করে IUT Authority খুবই হেল্পফুল পেয়েছি। বুয়েট আর IUT-তে সুযোগ পাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আর একবারও ভাবিনি। কারণ, সেখানে থাকা-খাওয়ার পরিবেশ খুবই নোংরা এবং রাজনীতি সবচেয়ে বেশি। আমার ভাইয়ার ইচ্ছা ছিল, এখানে নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বুয়েটে হয়ে যাওয়ায় এখানে পড়েনি।

একটা বিষয় আসলে পরিষ্কার করা দরকার, সবাই প্রথম থেকেই চিন্তিত ছিলেন বুয়েটে গেলে নিরাপত্তার ব্যাপারে। এটা আসলে আমি কখনোই ভাবিনি। আবার ভাইয়ার কথা মনে পড়েবে, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ব, এ রকম কিছু নিয়েও চিন্তিত ছিলাম না। আমার ইচ্ছা আছে ভাইয়ার শেরেবাংলা হলেও সিট পেলে থাকব।

আপনারা অনেকেই আমাকে নিজের ছোট ভাই ভেবে অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকেই অনেক কিছু বোঝানোর জন্য নিজেদের মূল্যবান সময় ব্যয় করেছেন। আমি সত্যিই আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আর কিছু মানুষের ধন্যবাদ একটু বেশিই প্রাপ্য। তারা হলেন আমার শিক্ষকরা। সত্যি বলতে, গত প্রায় ২ বছর ৯ মাসে আমি যেখানে একদিন হলেও পড়েছি, প্রত্যেকেই নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে আমাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। আমি আসলে বেশি কিছু ক্ষেত্রে অবাক হয়ে গেছি। আমাদের প্রথমবার দেখা হয়েছে অথচ তাদের ব্যবহারে মনে হয়েছে যেন আমরা কত পরিচিত। আর পড়ালেখার বিষয়ে তাদের অবদান তো ছিলই। এমনকি সাবজেক্ট পছন্দের ক্ষেত্রেও তারা অনেক সাহায্য করেছেন। আল্লাহ তাদের প্রত্যেককেই ভালো, সুস্থ রাখুক এটাই চাই সব সময়। দোয়া করবেন যেন আল্লাহ আমাকে সঠিক পথ দেখান সব সময়।’

এর আগে গত ৩০ জুন বুয়েটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে আবরার ফাইয়াজ ৪৫০তম হয়ে যন্ত্রকৌশল বিভাগে চান্স পান।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের একটি হলে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আবরারকে ৬ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ৭ অক্টোবর তার বাবা ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর মামলা তদন্ত করে পুলিশ মোট ২৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়, যাদের সবাই বুয়েটের বিভিন্ন বর্ষের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এই মামলায় রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় আদালত।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়