লোডশেডিংয়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ নসরুল হামিদের, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৫৪, মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ফাইল ছবি

বর্তমান লোডশেডিং পরিস্থিতিকে অনাকাঙ্খিত আখ্যা দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সেইসঙ্গে দ্রুততম সময়ে এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

সোমবার (৬ জুন) বিকেলে ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, তীব্র গরম এবং সেইসঙ্গে লোডশেডিংয়ের কারণে সবার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি কারোই কাম্য নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিংয়ের পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে, যা সবারই জানা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের অজানা নয় করোনা মহামারীর ধাক্কা, পরবর্তীতে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে ভয়াবহ অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস, কয়লা, ফার্নেস ওয়েলসহ সকল প্রকার জ্বালানির মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, সেইসঙ্গে প্রাপ্যতা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। যে সংকট এখনও চলমান।

অন্যদিকে, টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে লাগামহীনভাবে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানি যথা গ্যাস, কয়লা ও ফার্নেস ওয়েল আমদানিতে অনেকটা প্রভাব পড়েছে। ফলশ্রুতিতে বর্তমানের এই অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিং। তবে আমরা খুব দ্রুতই জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছি। আশা করি সপ্তাহ দু'য়েকের মধ্যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে।

নসরুল হামিদ বলেন, আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবিচল নেতৃত্বে দিনরাত পরিশ্রম করে আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ২০০৮ সালেও মাত্র ৪৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পেতেন, সেখানে আজ শতভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। যা বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় নজিরবিহীন ঘটনা। শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতি ও সকল ধরণের উৎপাদনে অভাবনীয় গতি এসেছে। এতে দেশজুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিগত এক যুগে আমরা দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি ৫ গুণেরও বেশি। বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৭,৩৬১ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভসহ)। ফলে উৎপাদন সক্ষমতার দিক থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের কোন ঘাটতি নেই। কিন্তু বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারের নজিরবিহীন উর্ধ্বগতির কারণেই আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিং-এর কবলে পড়েছি।

আমি সর্বোপরি আপনাদের ভোগান্তিতে দুঃখ প্রকাশ করছি। সেইসঙ্গে আশ্বস্ত করতে চাই, এ পরিস্থিতি সাময়িক। খুব দ্রুতই আমরা ভালো অবস্থায় ফিরে আসবো।

তিনি আরও বলেন, অনেকের মনে থাকবার কথা ২০০৮ সালের আগে সারাদেশে দিনে ১৬-১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই কঠিন সময় পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিদ্যুৎ খাতের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। আশা করি আপনাদের সেই আস্থা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে। সবাই মিলে আমরা দ্রুততম সময়ে এই ভোগান্তি পাড়ি দিতে সমর্থ হবো।

দিনবদলবিডি/Rakib

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়