পড়ালেখা শেষ হলে পুরোদমে কাজে ফিরব: শবনম ফারিয়া

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:৪৮, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

টিভিতে প্রতিদিন নিজেকে দেখা যাবে– এমন বাসনাও ছিল না। খ্যাতির মোহ নিয়ে কখনও ভাবিনি। এ কারণে কাজের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিইনি। সেই কাজটি করতে চেয়েছি, যা নিজের ভালো লাগবে। এমন গল্প ও চরিত্র চেয়েছি, যা দর্শকেমনে আঁচড় কাটবে। সমসাময়িক ও আমাদের আশপাশের গল্পের কাজ বলেই আন্তঃনগর ওয়েব ছবিতে কাজ করেছি। অভিনয় নিয়ে শুরুতে এমন কথাই বললেন মডেল ও অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।

‘দেবী’ চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ‘অলটাইম দৌড়ের উপর’, ‘মানকি বিজনেস’, ‘প্রতীক্ষা’, ‘সে আসে ফিরে ফিরে, ‘প্রেমের রঙে রাঙাবো’, ‘ব্যাকবেঞ্চার’, ‘হিং টিং ছট’, ‘বনলতা’, ‘ইডিয়ট, ‘না জাগতিক না পুরাণ’, ‘হানিমুন প্যাকেজ’, ‘আনার কলি’, ‘মি. অ্যান্ড মিসেস রাইট’, ‘হ্যাপি এন্ডিং’, ‘ফানি ভিডিও’, ‘হেমন্তের বৃষ্টি’সহ বেশ কিছু নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয় করে যিনি দর্শক প্রশংসা পেয়েছেন, তার মুখে এমন কথা শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই কাজগুলোর কথা বলা হলো, সেগুলো ফারিয়াকে রাতারাতি তারকা বানিয়ে দেয়নি ঠিকই, কিন্তু অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর একটি ইমেজ তৈরি করে দিয়েছে।

ফারিয়ার কথার সূত্র ধরে আন্তঃনগর ওয়েব ছবি নিয়ে কথা শুরু হলো। এ সিরিজে তিনি অভিনয় করেছেন মৌসুমী নামের এক পার্লার কর্মীর চরিত্রে। ফারিয়া থেকে মৌসুমী হয়ে ওঠার সফরটি কেমন ছিল– ‘দৃশ্যধারণের তিন মাস আগে নির্মাতা গৌতম কৌরি আমাকে গল্প ও চরিত্র সম্পর্কে জানিয়েছিলন। সবকিছু পছন্দ হওয়ায় অভিনয়ে আগ্রহ জন্মেছে। অল্প সময়ের মধ্যে যতটুকু পেরেছি প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদেরই সহকর্মী অভিনেত্রী ও মডেল জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়ার বিউটি পার্লার আছে। তাঁর পার্লারে গিয়ে পার্লারকর্মীর চরিত্রটি আত্মস্থ করার চেষ্টা করেছি। এটিই আমাকে চরিত্রটি রূপায়ণ করতে বেশ সহযোগিতা করেছে। আমরা মনে করি, আমাদের জীবনেই যত সমস্যা। অন্যের জীবনযাপন খুব সোজা। সবার কোনো সমস্যা নেই। প্রতিটি মানুষের নিজস্ব কিছু সমস্যা থাকে। এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে ছবিতে। এই সহজ বিষয়গুলো তুলে আনা একটু কঠিনই ছিল’– বললেন ফারিয়া।

ফারিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব থাকেন। বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের মতামত দেন। পাশাপাশি তাঁকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যকারীকেও ছেড়ে কথা বলেন না এই তারকা অভিনয়শিল্পী। এ নিয়ে তাঁর ভাষ্য– ‘যে বিষয়গুলো আমার ভালো লাগে না, তা নিয়ে সরাসরি কথা বলতে পছন্দ করি। যাঁরা কথা বলেন না তাঁরা সবার প্রিয় হতে চান। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে নিজের দায়িত্ব বোধের জায়গা থেকে সমাজের নানা অসংগতি নিয়ে কিছু কথা বলা দরকার বলে আমি মনে করি। সবাই যদি সবকিছু চুপ করে শুনতে থাকেন তাহলে তো হবে না। দু’চারজনকে তো কথা বলতে হবে।’

অভিনয়ের চেয়ে এখন পড়ালেখা নিয়েই ব্যস্ত ফারিয়া। এ কারণে নতুন কোনো কাজে দেখা যাচ্ছে না। ঈদের নাটকে তাঁকে খুব একটা পাওয়া যাবে না। ফারিয়া বলেন, ‘আমার মাস্টার্স পরীক্ষার বাকি চার মাস। এ কারণে পড়ার চাপ বেশি। ইন্টার্নশিপও শুরু হচ্ছে। ইচ্ছা থাকলেও কাজ করতে পারছি না। পড়ালেখা শেষ হলে আবার পুরোদমে কাজে ফিরব।’ 

অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়ে আপনি তৃপ্ত– এর উত্তরে ফারিয়া বলেন, ‘প্রাপ্তির খাতা শূন্য নয়, কিন্তু তৃষা এখনও আছে। সবারই এই তৃষা থাকে। ভালো কিছু করতে চাওয়া একটা নেশার মতো। তাই যতদিন বাঁচব ভালো নাটক, সিনেমা, টেলিছবিতে অভিনয়ের বাসনা থেকেই যাবে।’

দিনবদলবিডি/Rabiul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়