বিপিও খাতের মাধ্যমে ৭০ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে: স্পিকার
নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আইটি বাংলাদেশের একটি উদীয়মান খাত। এই খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য বিরল গৌরব বয়ে নিয়ে এসেছে। এক্ষেত্রে, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাককো) আইটির সার্ভিস সেন্টার হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। দেশের বিপিও খাতের অবস্থান তুলে ধরতে পঞ্চম বিপিও সামিট আয়োজন প্রশংসনীয়। বিপিও খাতের মাধ্যমে প্রায় ৭০ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে, যা দ্রুত প্রসারমান।
শনিবার (২২ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাককো)-র উদ্যোগে ‘সোর্সিং বিয়ন্ড বর্ডার্স’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত পঞ্চম বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সামিটের উদ্বোধন করেন।
স্পিকার বলেন, দেশের তরুণ মেধাবীদের সম্পৃক্ত করতে হলে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কার্যক্রম বিস্তৃত করতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে বিপিও-র সহজবোধ্য উপস্থাপন জরুরি। বিপিও থেকে দেশ ও জাতি কীভাবে লাভবান হতে পারে তা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ খাতে নারীদের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে। সোর্সিং বিয়ন্ড বর্ডার্স অর্থাৎ দেশের দক্ষ জনশক্তি সারা বিশ্বে সেবা প্রদানের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার দক্ষতা অর্জন অব্যাহত রাখতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনায় আইটি সেক্টরের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। আইটি সেক্টরে তৈরি হওয়া মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সিনিয়র সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, আইসিটি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন ও আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বাককো-র প্রেসিডেন্ট ওয়াহেদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন।
দিনবদলবিডি/Rakib