বিএনপি পতিত দল হলে আপনাদের এত ভয় কেন, প্রশ্ন মির্জা আব্বাসের

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ রাত ০৯:০৯, শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২, ১ শ্রাবণ ১৪২৯
মির্জা আব্বাস। ফাইল ছবি

মির্জা আব্বাস। ফাইল ছবি

‘বিএনপি একটি পতিত দল’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আজকে দুঃখ হয়, ওয়ান-ইলেভেনের সময় জেলখানায় থাকাবস্থায় কান ধরে যিনি বলেছিলেন জীবনে আর কোনোদিন রাজনীতি করবেন না আজ তিনি বিএনপিকে বলেন পতিত দল।

‘বিএনপি একটি পতিত দল’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আজকে দুঃখ হয়, ওয়ান-ইলেভেনের সময় জেলখানায় থাকাবস্থায় কান ধরে যিনি বলেছিলেন জীবনে আর কোনোদিন রাজনীতি করবেন না আজ তিনি বিএনপিকে বলেন পতিত দল। আমার কথা হচ্ছে, বিএনপি যদি পতিত দল হয় তাহলে আমাদের নিয়ে আপনাদের এত ভয় কেন? কেন বিএনপিকে মিটিং-মিছিল, সভা- সমাবেশ করতে দিতে চান না।

যশোর জেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধনি হত্যার প্রতিবাদে যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।  

মির্জা আব্বাস বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনির্বাচিত সরকারকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। দলীয় সরকার কিংবা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। বরং  কীভাবে সরকারের পতন ঘটানো যায় আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইলেক্ট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বুঝি না, ইভিএম আমরা চিনি না। কাজেই আগামী নির্বাচন কীভাবে হবে সেটা বিষয় নয়। সরকারের পতনের পর আমরা আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া ঠিক করব।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সরকার শুধু উন্নয়নের কথা বলে। তারা যতি এতোই উন্নয়ন করে থাকেন তাহলে ছেড়ে দেন ক্ষমতা, পদত্যাগ করুন। জনগণ খুশি হলে আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে আমরাও মেনে নেব। বেশি কিছু তো চাচ্ছি না-আমরা শুধুমাত্র একটি বিষয় চাচ্ছি সেটি হলো নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন।

পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সেলফি তোলার সমালোচনা করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও ব্যক্তি শেখ হাসিনা এক নয়, এটা বুঝতে হবে। আমার কথা হলো, নির্দশেনা দিয়ে নির্দশেনা ভঙ্গের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হয় পুরস্কার নতুবা তিরষ্কার পাওয়া উচিত।

ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।

দিনবদলবিডি/এইচএআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়