বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত ও বিদেশী প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চায় ভারত!
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
সাংবিধানিক নিয়মেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন দিতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে কাজও করছেন ক্ষমতাসীনরা। এবার প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের মত জানিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত আর বিদেশী প্রভাবমুক্ত নির্বাচনও চায় দেশটি। গত ৩ আগস্ট ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি’র ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।
অরিন্দম বাগচি বলেছেন, নয়াদিল্লি চায় বাংলাদেশের নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দেশের জনগণের দ্বারা নির্ধারণ করা হোক। বাংলাদেশের জনগণ যেভাবে চাইবে, সেভাবেই ভোট হবে। আমরা সেটাই মেনে নেব। তবে বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া কি হবে, সেটি একান্তই বাংলাদেশের জনগণের বিষয়।
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে দেশটিতে যা ঘটে তার প্রভাব আমাদের ওপর পড়ে। আমি মনে করি বাংলাদেশে অনেক কিছুই হচ্ছে, সমগ্র বিশ্ব হয়তো এটা নিয়ে মন্তব্য করছে, কিন্তু ভারত ভারতই। তবে এই আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের পরও ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের কৌশলগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গত ৬ আগস্ট দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে রয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান ও সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।
সফরের অংশ হিসেবে গত ৭ আগষ্ট বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার বাসভবনে প্রতিনিধিদলটির সঙ্গে বৈঠককালে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিজেপির দীর্ঘদিনের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তার দল এ অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাস দমনের স্বার্থে অতীতের মতো আগামীতেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
সূত্রমতে, ৫ আওয়ামী লীগ নেতার সাম্প্রতিক এই ভারত সফরে দেশটির কৌশলগত অবস্থান পরিষ্কার করেছে বিজেপি। বাংলাদেশে যেন আগামী নির্বাচনের আগে কোনো অশান্তি তৈরি না হয়, শেষ পর্যন্ত যেন সাংবিধানিক ধারা ব্যহত না হয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা যেন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ প্রয়োগ না করে, সেজন্য তারা কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানায় ক্ষমতাসীন দল বিজপির প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, ওই প্রতিনিধিদলের তিন দিনের এই সফরে ভারতের সরকার ও বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে। প্রতিনিধি দলটি আগামী ৯েআগষ্ট দেশে ফিরবে বলে জানা গেছে।
দিনবদলবিডি/Rakib