যেসব ভুল ধারণা নিয়ে আসেন বিদেশি কূটনীতিকরা

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৫৫, সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

বাংলাদেশ একদম ভয়ংকর জায়গা, এলে মেরে ফেলবে। মানুষ খুব কষ্টে আছে, সরকার রাস্তাঘাটে মানুষ মেরে ফেলছে। কিন্তু যখন এসে দ্যাখে যে অবস্থা অত খারাপ না, তখন আকাশ থেকে পড়ে।

চারদিনের সফরে গত ১২ আগস্ট ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির কংগ্রেস সদস্য এড কেইস ও রিপাবলিকান পার্টির রিচার্ড ম্যাকরমিক। সফরের আনুষ্ঠানিকতার প্রথম দিনই মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকজুড়ে নির্বাচনসহ নানান ইস্যুতে কথা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এড কেইস ও রিচার্ড ম্যাকরমিক মার্কিন প্রতিনিধি হলেও দুজন দুটি ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য। স্বভাবতই বাংলাদেশ সম্পর্কে পূর্ব কিছু ধ্যানধারণা নিয়েও তারা এখানে আসেন।  

এবার সফরের প্রথমেই তারা রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলেছেন। তবে প্রশ্নটি হচ্ছে সরকার পতনের দাবির সঙ্গে সমঝোতা হয় কিভাবে? জবাবটি এভাবেই দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনের খবরই রাখে না, কোনো আলোচনায়ও বসতে চায় না। এক্ষেত্রে সমঝোতার জায়গাটি কোথায়?

অন্যান্য প্রসঙ্গের মধ্যে উঠে এসেছে চীনের কথা। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে সবসময়ই উদ্বিগ্ন পশ্চিমারা। এদিনের বৈঠক থেকেই জানা গেছে সফররত মার্কিন কূটনীতিকদের কাছে বিভিন্ন লোকজন বলেছে, বাংলাদেশ চীনের খপ্পরে পড়ে গেছে। চীনের গোলাম হয়ে গেছে।

জবাবে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের তফাৎগুলো তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মনস্তাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশনে বিশ্বাস করে। এদেশে গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি, কৃষি- এগুলো সব বেসরকারি খাতে। এগুলো চীনের মতো কমান্ড সিস্টেম নয়। বিষয়গুলো জানার পর অবাক হয়েছেন মার্কিন কূটনীতিকরা।

পশ্চিমাদের ইন্দো-প্যাফিসিক চুক্তি নিয়ে প্রবল আগ্রহ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়েও তাদের আস্বস্ত করে জানান, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে বাংলাদেশ একটা আউটলুক তৈরি করেছে যেন অবাধ, নিরপেক্ষ, ও  সবার সমৃদ্ধির জন্য নিয়ম-নীতিভিত্তিক নৌযান চলাচল করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রতিনিধিদের এমন সফর বাংলাদেশের বিষয়ে ভুল ধারণা দূর করতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তিনি বলেন, অনেক সময় এ ধরনের প্রচার হয়েছে যে বাংলাদেশ একদম ভয়ংকর জায়গা, এলে মেরে ফেলবে। মানুষ খুব কষ্টে আছে, সরকার রাস্তাঘাটে মানুষ মেরে ফেলছে। কিন্তু যখন এসে দ্যাখে যে অবস্থা অত খারাপ না, তখন আকাশ থেকে পড়ে। এজন্য আমরা চাই তারা আনাগোনা করুক। নিজের চোখে দেখে যাক, যেন পক্ষপাতদুষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত তারা না নেয়।

দিনবদলবিডি/Rakib

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়