এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিতে হবে যত টাকা

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:১০, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১৮ ভাদ্র ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চার ক্যাটাগরিতে টোল আদায় হবে। ক্যাটাগরি ১-এ থাকছে কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস ও হালকা ট্রাক; টোল ৮০ টাকা। ক্যাটাগরি ২-এ থাকছে মাঝারি ট্রাক, টোল ৩২০ টাকা। ক্যাটাগরি ৩-এ থাকা ট্রাকের  জন্য দিতে হবে ৪০০ টাকা। ক্যাটাগরি ৪-এ সব ধরনের বাসের জন্য টোল ১৬০ টাকা।

বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশের উদ্বোধন হয়েছে আজ শনিবার। বিকেল ৪টায় এক্সপ্রেসওয়েটির হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে সড়ক পরিবহনে নতুন মাত্রা পেলো বাংলাদেশ।

তবে উদ্বোধন হলেও এর ওপর দিয়ে যান চলাচল করবে রোববার থেকে। প্রথম দফায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এটি খুলে দেওয়া হচ্ছে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চার ক্যাটাগরিতে টোল আদায় হবে।

ক্যাটাগরি ১-এ থাকছে কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) ও হালকা ট্রাক (তিন টনের কম); টোল ৮০ টাকা।

ক্যাটাগরি ২-এ থাকছে মাঝারি ট্রাক (ছয় চাকা পর্যন্ত), টোল ৩২০ টাকা।

ক্যাটাগরি ৩-এ থাকা ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) জন্য দিতে হবে ৪০০ টাকা।

ক্যাটাগরি ৪-এ সব ধরনের বাসের (১৬ আসন বা তার বেশি) টোল ১৬০ টাকা।

তবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে রয়েছে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। এর মধ্যে দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। তাই মোটরসাইকেল বা অটোরিকশা নিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার সুযোগ নেই।

গাড়ি নিয়ে গিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পথচারীরা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে ও চলাচল করতে পারবেন না।

সেতু বিভাগ বলছে, মূল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। আর ওঠা-নামার স্থানে (র‍্যাম্প) সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে। সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এতে ওঠা-নামার জন্য ২৭ কিলোমিটারের ৩১টি র‌্যাম্প রয়েছে। এসব র‌্যাম্পসহ এক্সপ্রেসওয়েটি প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। বর্তমানে প্রকল্পের বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ প্রস্তুত।s

দিনবদলবিডি/Rabiul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়