সর্ব মহলেরর আস্থা অর্জনে নির্বাচনের আগেই প্রশাসন সংস্কারের উদ্যোগ!

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:১৯, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১ আশ্বিন ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

নির্বাচনে ৬৪ টি জেলায় যারা ডিসির দায়িত্ব পালন করবে তাদের তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এদের মধ্যে কে অতি উৎসাহী বা কেউ অতি আওয়ামী লীগার আছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে। 

আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নিজেদের স্বার্থে সরকারকে জড়িয়ে বিতর্কে জড়াচ্ছেন ডিসি-ওসিরা। কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে বিতর্কিত কর্মকর্তা থাকলে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না। এজন্য বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সরকার। কারণ সরকার চায় একটি বিতর্কমুক্ত সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, তাই নির্বাচনের আগেই প্রশাসন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট চাওয়ায় সম্প্রতি জামালপুরের জেলা প্রশাসক-ডিসি মোহাম্মদ ইমরানকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।  শুধু তাই নয়, নির্বাচনে ৬৪ টি জেলায় যারা ডিসির দায়িত্ব পালন করবে তাদের তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এদের মধ্যে কে অতি উৎসাহী বা কেউ অতি আওয়ামী লীগার আছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব থানার ওসিদের ‘অতীত বর্তমান’ যাচাই বাছাই করার জন্য। তাদের মধ্যে কেউ বিতর্কিত থাকলে সরানো হবে।

অন্যদিকে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকারের উদ্দেশ্য হলো একটি অবাধ-সুষ্ঠ-নিরপেক্ষ নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করবে। কোন দল অংশগ্রহণ করলো না করলো সেটি সরকারের বিষয় নয়। আর এরকম একটি নির্বাচনের জন্য দরকার একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন। বিশেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনোরকম বিতর্ক হোক এটি সরকারের নীতি নির্ধারকরাও চাইছেন না। আর এই কারণেই নির্বাচন নিয়ে কোনো বিতর্কে জড়াতে চায় না সরকার। বরং সরকার চায় প্রশাসন নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুক।

ডিসি-ওসিরা মাঠপ্রশাসনের বড় কর্তা। তাদের কারও কারও মধ্যে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর রাজনীতি করা বা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগাম চেষ্টা থাকে। এ জন্য চেয়ারে বা চাকরিতে থাকতেই তারা সেটার নিশ্চয়তা মেলানোর চেষ্টা করেন। তবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের নাগরিকের সেবক না হয়ে এভাবে প্রকাশ্যে ক্ষমতাসীন দলের সেবক হয়ে ওঠা কোনোভাবেই কাম্য নয়, এতে প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাশাপাশি নিজেদের অযোগ্য করছেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়