মানুষের আয় বৃদ্ধির জন্য ডিমের চাহিদা বাড়ছে: বাণিজ্য সচিব
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
ডিমের চাহিদা বাড়ার পেছনে মানুষের আয় ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, চাহিদা তো প্রতিনিয়ত বাড়ে। এ দুটির প্রভাব পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সচিব।
বাণিজ্য সচিব বলেন, গত মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ এবং ১২ টাকা খুচরা পর্যায়ে বিক্রি। দেখা যাচ্ছে, খুচরা পর্যায়ে অনেক জায়গায় এই দামে বিক্রি হচ্ছে না। সেই জন্য উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে আমরা কিছু ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। চারটি কোম্পানিকে চার কোটি; প্রত্যেককে এক কোটি করে আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। ভোক্তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা এ অনুমতি দিয়েছি। আমাদের প্রতিদিন প্রায় চার কোটি ডিম প্রয়োজন হয়। সেই হিসেবে আমরা মাত্র একদিনের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন হলে আমরা আরও বেশি ডিম আমদানির অনুমতি দেব। যেখানে দাম কম পাবে বা দ্রুত আনতে পারবে সে উৎস থেকেই আনতে পারবে। আমদানির ক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই। বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করতে হবে।
ডলার সংকটের মধ্যে ডিম আমদানির সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণ মানেই তো স্থিতিশীল বা আগের যে দাম ছিল খুব বেশি বৃদ্ধি না পাওয়া। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে যে টুলসগুলো আসে, সেখানে উৎপাদন কত হচ্ছে, আমদানি কত হচ্ছে এবং এই দুটি মিলিয়ে বাজারে যে চাহিদা আছে সেটা মেটাতে পারছি কি না।
মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন উল্লেখ করে সচিব বলেন, দুই একদিনের মধ্যেই দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং আরও বাড়ানো হচ্ছে। দাম নিয়ন্ত্রণ করতেই আইন অনুযায়ী আমদানি করা যায়।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাজার পর্যবেক্ষণ করছি। এখন এটা বাস্তবায়ন করার ব্যাপার। সব জেলা-উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সবাইকে নিয়েই আমরা এটা বাস্তবায়ন করব। হয়তো দু-চার দিন সময় লাগবে। আমরা দেশীয় উৎপাদিত ডিমকে অগ্রাধিকার দিতে চাই। তবে এই সুযোগ নিয়ে ডিমের অতিরিক্ত দাম নেয়াটা যৌক্তিক নয়।
দেশের প্রথমবারের মতো ডিম আমদানির যে চার কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে- মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স এনবড সাপ্লাইয়ার্স, টকইগার ট্রেডিং ও অর্নব ট্রেডিং লিমিটেড।
দিনবদলবিডি/Rabiul