দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ঝুঁকি সবচেয়ে কম: ইআইইউ
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
প্রতিবেদনে বাজারের আকার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ২০টি অর্থনীতির একটি হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়। সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে ইলেকট্রনিক ভোগ্য পণ্য, তথ্য-প্রযুক্তি সেবা, টেলিযোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও গাড়ির কথা বলা হয়েছে
দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ঝুঁকি অনেক কম বলে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-ইআইইউ। বৈশ্বিক এই সংস্থাটি বলছে, এশিয়ায় আর্থিক ঝুঁকি কমে এলেও শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি দুর্বল অবস্থানে আছে।
সম্প্রতি ‘নো রিটার্ন টু চিপ মানি’শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক সুদহারের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। এর ফলে ২০২২ সালে ছয়টি দেশ ঋণখেলাপি হয়েছে। চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আরও কিছু দেশ ঋণখেলাপি হতে পারে। এর পেছনে অন্যতম কারণ উচ্চ সুদহার।
বাংলাদেশ নিয়ে পূর্বাভাসে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বহির্বিশ্বের অর্থায়নের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমার সম্ভাবনা আছে এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের বেশি হতে পারে।
তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি অনুপাতে দেশের সরকারি ঋণ কিছুটা পরিমিত হতে পারে, যা হতে পারে ৪০ শতাংশের কম। পণ্য রপ্তানি, প্রাথমিক আয় ও রেমিট্যান্সের শতাংশ হিসাবে মোট বৈদেশিক ঋণ পরিষেবা ১০ শতাংশের কম হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। এতে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৬ শতাংশের বেশি।
উল্লেখ্য, এর আগে ইআইইউয়ের আরেকটি প্রতিবেদনে বাজারের আকার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ২০টি অর্থনীতির একটি হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়। সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে ইলেকট্রনিক ভোগ্য পণ্য, তথ্য-প্রযুক্তি সেবা, টেলিযোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও গাড়ির কথা বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বর্তমান সরকার দেশকে সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে দেশ গঠনের কাজে মনোনিবেশ করায় আমেরিকা, চীন, ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো ধনী দেশগুলো বাংলাদেশে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। সরকারের ধারাবাহিকতা ও পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচি দ্রুত বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
দিনবদলবিডি/Rabiul