ইইউ পার্লামেন্ট'র প্রস্তাব বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ: বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
আদালত এ মামলাটি নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে পরিচালনা করেছে এবং বাস্তব প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দিয়েছে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবেই এ মামলা প্রভাবিত হয়নি। ২০০৭ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করে চলেছে। তাই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আচরণ আমাদের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আনা প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন। ১৭ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রস্তাবনা আনা হয়েছে। বিশেষ করে মানবাধিকার সংগঠন 'অধিকার'র বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এ ধরনের প্রস্তাবনা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিচারিক ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের শামিল, যা অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত। আমরা এ বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ২০১৩ সালে আদিলুর রহমান খান ও এএসএম নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ওই মামলার বিচার শুরু হয়। সাইবার ট্রাইব্যুনাল সব সাক্ষ্য প্রমাণ ও নথি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পযালোচনা করে ১৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত রায় দিয়েছে।
আদালত এ মামলাটি নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে পরিচালনা করেছে এবং বাস্তব প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দিয়েছে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবেই এ মামলা প্রভাবিত হয়নি। ২০০৭ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করে চলেছে। তাই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আচরণ আমাদের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির অহেতুক সমালোচনা কিছুতেই কাম্য নয়। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ নিয়ে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের আযাচিত বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। অতএব আমরা ইউরোপীয় পার্লামেন্ট কর্তৃক এ ধরনের 'আকস্মিক নিন্দা' প্রত্যাখ্যান করছি।
দিনবদলবিডি/Rabiul