অভিযানে মেলে স্যালাইন

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:২৫, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৬ আশ্বিন ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

চট্টগ্রামে প্রতিদিন কয়েক শ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দৈনিক প্রতিবেদনে গড়ে ১৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অনেক রোগী আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে না। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছে। ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ার পর বাজারে স্যালাইন নিয়ে নানা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতা গেলে স্যালাইন না পেলেও প্রশাসনের লোকজন অভিযানে গেলেই দোকানে স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে। অথচ ক্রেতারা নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেও স্যালাইন পান না। আবার কোনো দোকানে পাওয়া গেলে বাড়তি মূল্য আদায় করা হচ্ছে। ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, দেশের ছয়টি ওষুধ কোম্পানি স্যালাইন তৈরি করে। চট্টগ্রামে প্রতিদিন তারা প্রায় ১০ হাজার স্যালাইন বাণিজ্যিক ওষুধের দোকান ও বেসরকারি হাসপাতালে সরবরাহ দিচ্ছে। যদিও চট্টগ্রামে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ওষুধের দোকান রয়েছে প্রায় ১২ হাজার।


চট্টগ্রামে প্রতিদিন কয়েক শ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দৈনিক প্রতিবেদনে গড়ে ১৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অনেক রোগী আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে না। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছে। ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ার পর বাজারে স্যালাইন নিয়ে নানা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। রোগীরা ওষুধের দোকানে স্যালাইন পাচ্ছে না। সরকারি হাসপাতালে স্যালাইনে কোনো সংকট নেই। সম্প্রতি ভারত থেকে স্যালাইন আমদানি করা হয়েছে। এসব স্যালাইন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে।

 

চট্টগ্রামে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তারা গতকাল মঙ্গলবার চমেক হাসপাতালের সামনে ওষুধের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেছেন। এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেসব  দোকানে স্যালাইন পাওয়া গেছে। স্যালাইন নেই বলে কোনো অভিযোগ করেনি।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফিন ইত্তেফাককে বলেন, ‘দৈনিক প্রায় ১০ হাজার স্যালাইন চট্টগ্রামে ঢুকছে। কোম্পানিগুলো এসব স্যালাইন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও হাসপাতালের সামনে যেসব ফার্মেসি রয়েছে তাদের কাছে সরবরাহে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’


তবে অভিযোগ উঠেছে দৈনিক ১৫-২০ পিসের বেশি স্যালাইন দোকানিরা পাচ্ছে না। কিন্তু তাদের চাহিদা কয়েক গুণ বেশি। ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, দোকানগুলোকে বলা হয়েছে ক্রেতার কাছে বিক্রিত স্যালাইনের ক্যাশমেমো দেওয়ার জন্য। আর সাদা কাগজে লিখে আনলে স্যালাইন বিক্রি করা হবে না। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে স্যালাইন লেখা থাকতে হবে। তারা আরও জানান, রাত ১২টার পর ফার্মেসিতে স্যালাইন কিনতে গিয়ে ক্রেতারা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় অনেক ফার্মেসি বন্ধ থাকে। এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সংকট দেখিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে বাড়তি মূল্য আদায় করে বলে অভিযোগ পেয়েছেন।

দিনবদলবিডি/Rabiul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়