এলপি গ্যাসের দাম বেশি নিলে প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল: নসরুল হামিদ

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ রাত ০৮:২৪, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

যেকোনো মূল্যে ন্যায্য দামে এলপিজি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যেখানেই খোঁজ নিচ্ছি সেখানেই এলপিজি গ্যাসের ১০০-২০০ টাকা বেশি দাম পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এমন বাস্তবতায় কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে এলপিজি দাম বেশি নিলে প্রয়োজনে ডিলারদের বিক্রির লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’

আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইপিবি অডিটরিয়ামে হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত ওই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘খোঁজ নেওয়া সব জায়গায় এলপি গ্যাসের দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নেওয়ার অভিযোগ পাচ্ছি। যেকোনো মূল্যে ন্যায্য দামে এলপিজি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এখন থেকে নজরদারি বাড়ানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে দেশে বছরে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ব্যবহার ছিল মাত্র ৪৭ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে বছরে এলপিজির ব্যবহার সাড়ে ১৪ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। তাই এলপিজির ব্যবহারে যুগোপযোগী বা আধুনিক নীতিমালা জরুরি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এলপিজি কোথায় ব্যবহৃত হবে তার একটি গাইডলাইন থাকা দরকার। যত্রতত্র যাতে এলপিজির স্টেশন না বসতে পারে, তার জন্য নীতিমালা থাকা দরকার। আমাদের দেশ উন্নয়ন হচ্ছে, এখন এসব বিষয়ে দেখা দরকার। রেগুলেটরকে জনগণের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘ডিলারশিপ নিয়োগের ক্ষেত্রে এলপিজি অপারেটরদের নজরদারি থাকা দরকার। ডিলারের উপ-ডিলার, তারপর খুচরা বিক্রেতা এভাবে কয়েকহাত ঘুরে দাম বেড়ে যাচ্ছে। বিইআরসি নজরদারি করছে, অপরেটরদেরকও দায়িত্ব নিতে হবে। দরকার পড়লে লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা রাখতে পারে বিইআরসি।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান, কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিইআরসির সদস্য ড. মো. হেলাল উদ্দিন।

দিনবদলবিডি/Rabiul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়