যে কারণে বাথরুমে মোবাইল ব্যবহার করবেন না

লাইফস্টাইল ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:২৩, বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩, ১৯ আশ্বিন ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

বর্তমান সময়ে ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। তবে এই কর্মব্যস্ততার মধ্যেও দুনিয়ার সব খবর রাখার জন্য বর্তমান সময়ের সঙ্গী হচ্ছে মোবাইল।

ঘুম থেকে ওঠা থেকে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত হাতে বন্দি মুঠোফোন। এমনকি হাতে ফোন নিয়েই বাথরুমে প্রবেশ করেন অনেকে। জরুরি কথা থেকে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা— সবই চলে কমোডে বসে।

বাথরুমে বসে এই কাজগুলি সেরে ফেলতে পারলে সময় হয়তো খানিকটা বাঁচিয়ে ফেলা যায়, কিন্তু এই অভ্যাস শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। এখান থেকেই প্যাথোজেন সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তা ছাড়াও শৌচাগারে ফোন নিয়ে গেলে ‘ক্রস কন্টামিনেশন’-এর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

ক্রস কন্টামিনেশন কী?

মোবাইলের টাচস্ক্রিনে হাত দিয়ে কমোডের ফ্লাশে হাত দেওয়া কিংবা ফ্লাশ করার পর হাত না ধুয়ে মোবাইল, বাথরুমের অন্যত্র স্পর্শ করার ফলে ওই জায়গাগুলিতে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। ফলে পরে আবার যিনি বাথরুমের দরজায় বা ফ্ল্যাশ স্পর্শ করেন, তাঁর হাতে জীবাণু লেগে যায়। এই ভাবে ক্রমে সংক্রমণ ঘটতে থাকে।

এ ছাড়া বাথরুমে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার ফলে নিজেদের অজান্তেই, মোবাইলের সঙ্গে চলে আসছে ক্ষতিকারক কিছু ব্যাকটেরিয়া, যেমন- সালমোনেলা, ই কলি, সি ডিফিসিল। মোবাইলের মাধ্যমে এগুলি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে ঘটাতে পারে মারাত্মক ধরনের রোগ।

এ ছাড়া, ফোন হাতে বাথরুমে ঢুকলে নিজেদের অজান্তেই অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। কমোডের উপর বেশিক্ষণ বসে থাকলেও কিন্তু ঘাড়ে ও শিরদাঁড়াতেও সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। ঘাড় ঝুঁকিয়ে ফোনের স্ক্রিনের ওপর একটানা নজর রাখার ফলে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

অনেকেই মনে করেন, বাথরুমে কাটানো সময়টুকু তাঁদের ব্যক্তিগত সময়। কিন্তু ফোন হাতে বাথরুমে গেলে মস্তিষ্ক বিরতি পায় না। উল্টো মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

নিয়মিত ফোন স্যানিটাইজ় করলেও কি সমস্যার সমাধান হতে পারে?

অনেকে মনে করেন, প্রতিদিনের ব্যবহারের জিনিস যেমন জীবাণুমুক্ত করতে হয়, তেমন ভাবেই নিয়মিত ফোন জীবাণুমুক্ত বা স্যানিটাইজ় করে নিতে পারলে বোধ হয় সংক্রমণ কিছুটা হলেও এড়ানো যেতে পারে। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবের মতো বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলি পরিষ্কার করা যথেষ্ট ঝামেলার। স্যানিটাইজ়ারের সংস্পর্শে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

দিনবদলবিডি/এমআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়