ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ ১১ জেলায় আঘাত হানতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার দুপুর ১২টার মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এটি ১১টি জেলায় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘মিধিলি’।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে যে লঘুচাপটি সৃষ্টি হয়েছিল মঙ্গলবার, সেটি বুধবার নিম্নচাপে পরিণত হয়। বৃহস্পতিবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়, যেটা খুব অল্প সময়ের মধ্যে রাত ১২টা থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১১টি জেলায় এই ঘূর্ণিঝড়টির আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলাগুলো হলো- সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৬৪ কিলোমিটার থেকে ৮৮ কিলোমিটার। এটি সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার গতিতে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
তিনি বলেন, এটি এখন মোংলা ও পায়রা বন্দর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এর এগিয়ে যাওয়ার গতি বিশ্লেষণ করলে বলা যেতে পারে, ঘূর্ণিঝড় হিসেবে এটি আগামীকাল দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানবে।
তিনি জানান, যেহেতু এখন পূর্ণিমা নেই এবং বাতাসের গতিবেগও কম, সেজন্য জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কাও অনেক কম। আবহাওয়া দফতর থেকে বিপদ সংকেত দেওয়া হবে। সেটা ৭ মাত্রায় উঠলেই যেন দ্রুততার সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দেব, তারা যেন আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখেন।
আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাবার ও নিরাপদ খাবার পানি ব্যবস্থা রাখতেও নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
দিনবদলবিডি/Nasim