দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: এবারের তফসিলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:০১, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৭ জানুয়ারি ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের পর নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর। প্রচারণা চালানো যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। গত ১৫ নভেম্বর এই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

এছাড়াও এই তফসিলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। প্রথমত, কোন রাজনৈতিক সমঝোতা, বিরোধীতা বা বৈদেশিক চাপেই নির্বাচন থেকে পিছিয়ে আসার সুযোগ নেই।  তফসিল ঘোষণার পর থেকে পুলিশ ও প্রশাসন সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে গেছে। আর নির্বাচন কমিশন কোন রাজনৈতিক দল নয়। এটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাই পুলিশ প্রশাসন নির্বাচন বাস্তবায়নের জন্যই কাজ করবে। কোন সহিংসতাকেই এখন রাজনৈতিক হিসেবে দেখা হবে না।

এই তফসিলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে। বিএনপি ও সমমনা বিরোধীদলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও জাতীয় পার্টি (রওশান এরশাদ), জাসদ, তৃণমূল বিএনপিসহ একাধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। অর্থাত আওয়ামী লীগের সাথে এসব দলও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। ফলে কয়েকটি দল না এলেও নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার আর সুযোগ পাবে না কোনো দল।

এছাড়া সংলাপ ও আন্দোলন দুটো রাস্তাই এখন বিএনপির জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ এখন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। অন্য দিকে আন্দোলন করলে সেটা করতে হবে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। আর নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে। নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনীও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিবে। ফলে আন্দোলন করে সরকার পরিবর্তনের উপায়ও থাকবে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সব মিলিয়ে এই তফসিল ঘোষণার পরই পরিবর্তন হয়ে গেছে রাজনীতির হিসেব-নিকেশ। নির্বাচনী ট্রেন ছুটেছে ৭ জানুয়ারির দিকে। এখন নির্বাচনে না গেলে আম-ছালা দুটোই হারাতে হবে বিএনপিকে।

দিনবদলবিডি/Mamun

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়