সহিংসতার দায়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়বে কারা?

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৫৫, শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিষয়ে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা নীতিতে বলা হয়, আন্দোলনের নামে কোন সহিংসতা করলে তারাও এর আওতায় পড়বে। কিন্তু বিএনপি সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংস আন্দোলন করছে, যার ফুটেজও ভাইরাল হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে নীরব রয়েছে শক্তিধর দেশটি। ফলে মার্কিন ‘ভিসা নীতি’র প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

সূত্রমতে, সরকার পতনের লক্ষ্যে গত ২৮ অক্টোবর সহিংস আন্দোলন করছে বিএনপি। দলটির নেতাকর্মীরা বিচারপতির বাসভবন, পুলিশ হাসপাতালে হামলা ও পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের নীরব ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ জেগেছে অনেকের। তারা বলছেন, তাহলে কি ভিসা নীতির বাহিরে বিএনপি? শুধুই কি আওয়ামী লীগের জন্য এই নীতি? অথচ বলা হয়েছিলো সহিংসতাকারীদের ‍উপর প্রয়োগ হবে এই নিষেধাজ্ঞা।

শুরুতে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ভিসা নীতিকে স্বাগত জানিয়েছিল বিএনপি ও তাদের শরিকরা। দলটির শীর্ষ নেতারা বলেছিলো, ক্ষমতাসীনদের মাথার ওপর ঝুলবে মার্কিন ভিসা নীতির খড়গ। এমতবস্থায় সামগ্রিক দিক মূল্যায়ন করলে দেখা যায় যে, বিএনপি সহিংস আন্দোলন করেও ভিসা নীতির আওতামুক্ত রয়েছে। দলটির নেতারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তদবির-লবিং করেই যে মার্কিন এই নীতি এনেছেন তা প্রমাণিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সমালোচকরা বলছেন, নির্বাচনে বাধাদানকারীরা ভিসা নীতির আওতায় থাকবে, এমন ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নির্বাচনকে বানচাল করতে একের পর এক সহিংস আন্দোলন করে যাচ্ছে বিএনপি। এক্ষেত্রে দেখেও না দেখার ভান করে আছে দেশটি,যদিও সহিংসতা পরিহারের তাগিদও দিয়েছে তারা। তবে ভিসানীতি যে এখন পর্যন্ত একপাক্ষিক তা সুস্পষ্ট।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেনা। বিরোধী পক্ষের কেউ এই তালিকায় পড়েছে কিনা তা বলা যাচ্ছেনা। সহিংসতার দায়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় কারা পড়বে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

দিনবদলবিডি/Rakib

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়