আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৫৪, রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২, ৯ শ্রাবণ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহেরুল ইসলাম (৫০) ও কলেজ শিক্ষক বান্দা ফাত্তাহ মোহনকে (৫৫) গুলি করে হত্যা মামলায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহেরুল ইসলাম (৫০) ও কলেজ শিক্ষক বান্দা ফাত্তাহ মোহনকে (৫৫) গুলি করে হত্যা মামলায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আজ রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন, কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে তারিক, মোশাররফ হোসেনের ছেলে কামাল রেজা নিপু, আব্দুর রশিদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মাসুদ, নবীর আলীর ছেলে রায়হান আলী এবং সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে সিদ্দিক ওরফে (বাংলা ভাই)।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সিদ্দিক বাদে সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামি সিদ্দিক বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার পর পরই কারাদণ্ড প্রাপ্ত চার আসামিকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায় ১০ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের চাঁদা না দেওয়ায় ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ভেড়ামারা শহরের রেলবাজার এলাকায় একটি কাপড়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় মেহেরুল ইসলাম (৫০) ও কলেজ শিক্ষক বান্দা ফাত্তাহ মোহনকে (৫৫) আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার তিন দিন পর ২৮ আগস্ট ভেড়ামারা থানার এসআই শেখ আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২২ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর আদালত এ মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। আজ আদালতের বিচারক এ মামলার ৫ আসামিকে শাস্তির আদেশ দেন। 

দিনবদলবিডি/এইচএআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়