কুমিল্লায় এলজিআরডি মন্ত্রী
গণতান্ত্রিক দেশে বিএনপি আন্দোলন করতেই পারে
কুমিল্লা সংবাদদাতা || দিন বদল বাংলাদেশ
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে আজকে গণতান্ত্রিক অবস্থা বিরাজ করছে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। দেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে আজকে গণতান্ত্রিক অবস্থা বিরাজ করছে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। দেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। বিএনপি বলছে- তারা আন্দোলন করবে, গণতান্ত্রিক দেশে তারা আন্দোলন করতেই পারে।
তারা জনগণের জানমাল, সরকারি সম্পত্তি ক্ষয়-ক্ষতি না করে আন্দোলন করলে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু তারা আন্দোলনের নামে জনগণের জানমালের ক্ষতি হবে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি করলে রাষ্ট্র অবশ্যই তার দায়িত্ব পালন করবে।
আজ রবিবার দুপুরে কুমিল্লা আদালত প্রাঙ্গণে জেলা আইনজীবী সমিতির ১১তলা বিশিষ্ট নির্মিত নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপেসহ সারা বিশ্বে গ্যাসের সংকট চলছে। তাই সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বিদ্যুতের লোড শেডিং হচ্ছে। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই এই সংকট কেটে উঠবে বাংলাদেশ। আগামী ২০৩০ সালেই বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পঞ্চবার্ষিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে বর্তমানে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় আছে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে তা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে সরকার। উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছতে হলে মাথাপিছু আয়ের প্রয়োজন চার হাজার মার্কিন ডলার। সেটা বাস্তবায়ন হবে ২০৩০ সালের মধ্যেই।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের আইনের শাসন রক্ষার জন্য সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য বিচারক ও আইনজীবীদের অবশ্যই সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। মানুষের আস্থা অর্জনে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. আহছান উল্লাহ খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা ও স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আবু তাহের। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট ইউনুস ভুঁইয়া ও অ্যাডভোকেট মো. ইসমাইল হোসেন। এ সময় এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়কারী ও যুবলীগ নেতা মো. কামাল হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এলজিআরডি মন্ত্রী জেলা আইনজীবী সমিতির ১১ তলা ভবন নির্মাণের জন্য পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেন। এ ছাড়া মহিলা আইনজীবীদের জন্য বাথরুম ও নামাজের স্থান নির্মাণের জন্য ২০ লাখ টাকা এবং আদালত মসজিদের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, কুমিল্লা আমার নিজের জেলা। তাই শত ব্যস্ততার মধ্যেও কুমিল্লার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করি। সম্প্রতি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে কুমিল্লা সিটির উন্নয়নে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সুন্দর পরিকল্পনা নিয়ে এই টাকায় কুমিল্লা নগরীকে একটি আধুনিক নগরীতে পরিণত করতে হবে।
দিনবদলবিডি/এইচএআর