রাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি: ঢাবি দুই শিক্ষার্থীর দণ্ড

রাবি সংবাদদাতা || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:০২, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২, ১১ শ্রাবণ ১৪২৯
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে তিনজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে তিনজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে ঢাবির দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে ঢাবির দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে তিনজনকে এ কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ ইউনিটে প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবন থেকে মূল পরীক্ষার্থী লিমনের হয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এখলাসুর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের আবাসিক ছাত্র তিনি। জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানাধীন আবুল কাশেমের ছেলে দণ্ডপ্রাপ্ত এ শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে, বেলা ১১টার দিকে সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবন দ্বিতীয় শিফটে প্রক্সি দেয়া অবস্থায় ধরা পড়েন মো. সজিব। দণ্ডপ্রাপ্ত এ শিক্ষার্থী ঢাকা জেলাস্থ কেরানীগঞ্জের আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি মূল পরীক্ষার্থী তানভীর আহম্মেদের হয়ে প্রক্সি দেন।

এছাড়া তৃতীয় শিফটে ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মেহজাবীন মূল পরীক্ষার্থী ইশরাত জাহানের হয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, আজ এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রক্সি দেয়ার অভিযোগ তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেন। ফলে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক তাদের এক বছরের দণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় কোন ধরনের জালিয়াতি কিংবা অনৈতিক কাজ করার সুযোগ নেই। এসব দেখভাল করার জন্য সার্বক্ষণিক তদারকি জারি রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা টিম ও বিচক্ষণ শিক্ষকগণ। তাই ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে পাড় পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, ২০২১-২২ সেশনে দ্বিতীয় দিনের মতো এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলমান রয়েছে। এ ইউনিটে লড়ছেন ৬৭ হাজার ২৩৭ জন ভর্তিচ্ছু। ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে ১৫ স্তরের নিরাপত্তা টিম।

দিনবদলবিডি/এইচএআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়