ঝাঁজ কমেনি পেঁয়াজের, আগের দামেই তেল ও চিনি
নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
চিনি ব্যবসায়ী বশার মিয়া বলেন, গতকাল যে চিনির দাম ওঠা-নামা করেছে তাতে বাজারে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। আমরা ১৪৫ টাকা করে চিনি বিক্রি করছি। তবে প্রথম দিকে ১৫০ টাকা করে দাম চেয়ে ১৪৫ করে দিয়ে দিচ্ছি। কেউ বেশি নিলে ১৪০ টাকায়ও দিচ্ছি।
কয়েক দফায় দাম বৃদ্ধির পরেও এখনো বেড়েই চলছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। গত সপ্তাহে ১১০ টাকা কেজির পেঁয়াজ সপ্তাহ ঘুরেই কেজিপ্রতিতে আরও ১০ টাকা বেড়েছে। অবশ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে তেল ও চিনি।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাসাবো ও মাদারটেক কাঁচাবাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষে একই পেঁয়াজ ১৩০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম নিয়ে কথা হয় পেঁয়াজ বিক্রেতা মোশারফ মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা দুইদিন আগের ১০০ টাকায় কেনা পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি করছি। সেই পেঁয়াজ আজ সকালে ১০৯ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। ফলে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের কিছুই করার নেই। বাড়তি দামে কিনলে বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে তেল ও চিনি। খোলা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চিনির দাম কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা থেকে কেজিপ্রতি ২০ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে একইদিন সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে আসে। সরকারের এ দোটানা সিদ্ধান্তের পর খোলা বাজারে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে চিনি বিক্রি করছেন কিছু ব্যবসায়ী।
চিনি ব্যবসায়ী বশার মিয়া বলেন, গতকাল যে চিনির দাম ওঠা-নামা করেছে তাতে বাজারে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। আমরা ১৪৫ টাকা করে চিনি বিক্রি করছি। তবে প্রথম দিকে ১৫০ টাকা করে দাম চেয়ে ১৪৫ করে দিয়ে দিচ্ছি। কেউ বেশি নিলে ১৪০ টাকায়ও দিচ্ছি।
বাজার করতে আসা আলী আহাদ বলেন, সব জিনিসের যে দাম... তেল-চিনি-পেঁয়াজ কিছুই তো নাগালের মধ্যে নেই। ৪০ টাকার পেঁয়াজ এখন ১৩০ টাকা। মানে কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০০ টাকার মতো। এভাবে কীভাবে মানুষ ভালো থাকবে? আমাদের শুধু মেনে নিতে হচ্ছে। ১৩০ টাকার পেঁয়াজকেই এখন সহনশীল করে নিতে হচ্ছে। তেল-চিনিরও একই অবস্থা।
দিনবদলবিডি/Nasim