ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ মৃত্যু
‘নিজের কেনা কাফনের কাপড়েই দাফন হলো হিশামের’
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা || দিন বদল বাংলাদেশ
শুনেছি তার অসুস্থ (শয্যাশায়ী) নানার জন্য একটি কাফনের কাপড় কিনেছিল সে (হিশাম); যেটি দেখে আমার মেঝ ভাই তাকে খুব বকাঝকা করেছিল। আজ তার কেনা কাফনের কাপড় দিয়েই তাকে দাফন করা হয়েছে…
মোসআব আহমেদ হিশাম। তার মা-বোন কানাডায় থাকেন। বাবা মারা গেছেন ছোট বেলায়। এসএসসি পরীক্ষার পর হিশামের কানাডা যাওয়ার কথা ছিল। পরিবারের অনুপস্থিতিতে থাকতেন চাচা আকবর হোসেন মানিকের কাছে।
শনিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারীর খন্দকিয়া গ্রামে হিশামদের বাড়িতে গিয়ে শোকার্ত আবহে কথা হচ্ছিল তার চাচা মোহাম্মদ হোসেনের সঙ্গে। অশ্রুসিক্ত হোসেন বলছিলেন, হিশামকে বেশি দেখাশোনা করত আমার মেঝ ভাই আকবর হোসেন। শুনেছি তার অসুস্থ (শয্যাশায়ী) নানার জন্য একটি কাফনের কাপড় কিনেছিল সে (হিশাম); যেটি দেখে আমার মেঝ ভাই তাকে খুব বকাঝকা করেছিল। আজ তার কেনা কাফনের কাপড় দিয়েই তাকে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে খৈয়াছড়া লেভেল ক্রসিংয়ে উঠে পড়া তাদের মাইক্রোবাসটিকে ঠেলে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায় আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতী ট্রেন। ওই মাইক্রোবাসেই সকালে হাটহাজারীরে ‘আর অ্যান্ড জে’ কোচিং সেন্টার থেকে খৈয়াছড়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন ১৬ শিক্ষক-শিক্ষার্থী। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে ওই পিকনিকে চালক ও সহকারীসহ ১৮ জন ছিলেন।
ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন, ছয়জন চিকিৎসাধীন আছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে।
শনিবার সকালে হিশামের শিক্ষালয় কে এস নজু মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
দিনবদলবিডি/Rony