বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদন প্রকাশ

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:৩৪, রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২, ১৬ শ্রাবণ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

আমলাতান্ত্রিক অদক্ষতা প্রায়ই বাংলাদেশে বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করছে। এক্ষেত্রে দুর্নীতি একটি গুরুতর সমস্যা…

আমলাতান্ত্রিক অদক্ষতা প্রায়ই বাংলাদেশে বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করছে। এক্ষেত্রে দুর্নীতি একটি গুরুতর সমস্যা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি কমার্শিয়াল গাইড-২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লে­খ করা হয়েছে। সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন।

এতে বাংলাদেশে ব্যবসা করতে গেলে একটি কোম্পানিকে কোন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে- তা উল্লে­খ রয়েছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য আগ্রহের বিভিন্ন খাতে তাৎপর্যপূর্ণ সম্ভাবনাগুলোও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি একটি গুরুতর প্রতিবন্ধকতা হিসেবে রয়ে গেছে। যদিও সরকার ঘুস, আত্মসাৎ এবং অন্যান্য ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আইন প্রতিষ্ঠা করেছে, তবে যথাযথ প্রয়োগ নেই।

এতে উল্লে­খ করা হয়, আমলাতান্ত্রিক অদক্ষতা প্রায়ই বাংলাদেশে বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে। নিয়ন্ত্রক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার অভাব দেশে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের হতাশ করতে পারে। বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং বিভাগে শীর্ষ ও মধ্য-স্তরের কর্মকর্তাদের ঘন ঘন বদলি, কৌশলগত সংস্কার উদ্যোগ এবং রুটিন দায়িত্ব সময়মতো কাজের বাস্তবায়নে বাধা দেয়।

গাইডে উল্লে­খ করা হয়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবি একটি সাধারণ ঘটনা। এ ছাড়া এখানে ব্যবসার অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা পরিবহণ অবরোধ, যা শ্রমিকদের দূরে রাখতে পারে। ফলে পণ্য সরবরাহ অবরুদ্ধ হতে পারে, আর এই কারণে উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়। এ ধরনের অবরোধের সময় যানবাহন ও অন্যান্য সম্পত্তি ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগের ঝুঁকি এবং ব্যবসায় লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।

গাইডলাইনে উল্লে­খ করা হয়, বাংলাদেশে জমিসংক্রান্ত বিরোধ একটি সাধারণ ঘটনা। মার্কিন কোম্পানি এবং নাগরিকরা প্রতারণামূলক জমি বিক্রির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা হয়েছে, জমির প্রকৃত মালিক যখন বাংলাদেশের বাইরে বসবাস করছিলেন, তখন বিক্রেতা জালিয়াতির মাধ্যমে মালিকানা দাবি করে সরল বিশ্বাসের ক্রেতার কাছে জমি হন্তান্তর করেছে।

বর্তমান আইনের অধীনে মুনাফা এবং বাহ্যিকভাবে অর্থ প্রদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, বাংলাদেশ থেকে বহির্মুখী স্থানান্তরে জটিলতা থেকে যায়। একইভাবে মুনাফা বা লভ্যাংশ ফেরত দেওয়ার আবেদনে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ বা কর নিয়ে বিরোধের জন্য বিলম্বিত হতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কখনো কখনো বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে জড়িত কয়েক দশকের পুরোনো ট্যাক্সের মামলা বিশেষ লক্ষ্যবস্তু হিসাবে পুনরায় চালু করেছে।

উলেখ্য, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সূত্রগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই গাইডলাইন প্রস্তুতের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগ।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়