অন্য মেয়েকে বিয়ে করায় প্রেমিককে কুপিয়ে হত্যা

মাগুরা সংবাদদাতা || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৩৯, শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২, ২১ শ্রাবণ ১৪২৯
আটক আহিনা খাতুন, ইনসেটে নিহত আলী নূর বিশ্বাস

আটক আহিনা খাতুন, ইনসেটে নিহত আলী নূর বিশ্বাস

বিয়ে না করেও ঢাকায় প্রায় তিন বছর স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করছিলেন আলী নূর বিশ্বাস ও আহিনা খাতুন। সম্প্রতি গ্রামের বাড়িতে এসে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন আলী নূর বিশ্বাস। এ খবর জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন আহিনা খাতুন…

বিয়ে না করেও ঢাকায় প্রায় তিন বছর স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করছিলেন আলী নূর বিশ্বাস ও আহিনা খাতুন। সম্প্রতি গ্রামের বাড়িতে এসে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন আলী নূর বিশ্বাস। এ খবর জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন আহিনা খাতুন। ভাড়া বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় বঁটি দিয়ে আলী নূর বিশ্বাসকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

র‍্যাবের হাতে ধরা পড়ার পর এই লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন অহিনা খাতুন।

নিহত আলী নূর বিশ্বাস মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের বাহাদুর বিশ্বাসের ছেলে। গত ৩০ জুলাই আশুলিয়ার জিরাবো নামাপাড়া এলাকার দেলোয়ার বেপারীর বাসায় তাকে হত্যা করা হয়। সেখানেই স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন আলী নূর ও আহিনা খাতুন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে হোগলডাঙ্গা গ্রামের কবরস্থানে আলী নূরকে দাফন করা হয়।

নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, আলী নূর কোরবানির ঈদে বাড়িতে বেড়াতে এলে শ্রীপুর উপজেলার খামারপাড়া গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। আলী নূর স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি রেখে ঢাকার সাভারে অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাচ্ছিলেন।

বিয়ের পর গত ১৭ জুলাই ঢাকায় ফিরে আলী নূর আবার আহিনার সঙ্গে বসবাস করতে থাকে। এরই মধ্যে আলী নূরের বিয়ের কথা জানতে পেরে আহিনার মনে ক্রোধ এবং প্রতিহিংসার সৃষ্টি হয়। গত ৩০ জুলাই রাতে খাবার শেষে উভয়েই ঘুমিয়ে পড়ে। আহিনা ভোররাতে আলী নূরকে ঘুমন্ত অবস্থায় বঁটি দিয়ে মাথা, গলা এবং বুকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করলে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরপর র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে আহিনা খাতুন।

এদিকে র‌্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মামুদ খান জানান, আসামি আহিনার সঙ্গে নীলফামারীর মিজানুর রহমানের প্রথম বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের কারণে বিয়ের দেড় বছর পর তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। ওই পরিবারে তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পরবর্তীতে জীবিকার তাগিদে আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে আলী নূরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেখান থেকে শুরু হয় তাদের সম্পর্ক। শেষ পর্যন্ত আলী নূরকে হত্যা করেন আহিনা। 

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়