বৃদ্ধ মিজানের একটাই আকুতি ‘মৃত্যুর আগে টাকাটা পাব তো?’

পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) সংবাদদাতা || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৩৭, শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২, ২১ শ্রাবণ ১৪২৯
মিজানুর রহমান

মিজানুর রহমান

অবসরে যাওয়ার দুই বছরের বেশি সময় পার হলেও অবসর সুবিধার কিছুই পাননি বয়োবৃদ্ধ মিজানুর রহমান। কোন গ্যাড়াকলে পড়ে গত আড়াই বছর ধরে তার ফাইলটি অচল রয়েছে এখনো বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের অজানা।

অবসরে যাওয়ার দুই বছরের বেশি সময় পার হলেও অবসর সুবিধার কিছুই পাননি বয়োবৃদ্ধ মিজানুর রহমান। কোন গ্যাড়াকলে পড়ে গত আড়াই বছর ধরে তার ফাইলটি অচল রয়েছে এখনো বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের অজানা।

এদিকে টাকার অভাবে চিকিৎসা তো দূরের কথা, বাজার থেকে ওষুধ কেনার সামর্থ্যটুকুও নেই। ফলে শেষ বয়সে এসে কাতরাতে হচ্ছে এক বিছানাতেই।

অথচ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও জিপি ফান্ড মিলে প্রায় ১০-১৫ লাখেরও বেশি টাকা জমা রয়েছে তার। এই হতাশায় দুচোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে বয়োবৃদ্ধ মিজানের। তার একটাই আকুতি ‘মৃত্যুর আগে টাকাটা পাব তো?’

পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলি আহমেদ জানান, ১৯৮৭ সালে এই প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী (দপ্তরি) পদে নিয়োগ পান মো. মিজানুর রহমান। ১৯৯৩ সাল থেকে এমপিওভুক্ত হন। যার ইনডেক্স নং ২৬৯৯২৯। ২০২০ সালের মার্চ মাসে তিনি অবসরে যান। অবসরে যাওয়ার পর পরই সুবিধা প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাকে দেওয়া হয়েছে।

মো. মিজানুর রহমান উপজেলার দমদম মাষ্টার টিলার মৃত আবদুল মান্নানের সন্তান। তিনি পাঁচ সন্তানের জনক। মেঝো সন্তান মো. জহিরুল ইসলাম জানান, আমার বাবা এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। সরকারি বিধি মোতাবেক সব কাগজপত্র ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর ডাকযোগে ও ই-মেইলে পাঠানো হয়েছিল। বছর খানেক ধরে কোনো খোঁজ-খবর নাই দেখে ঢাকার নীলক্ষেত বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট অবসর ভবনে সরেজমিনে গিয়ে যোগাযোগ করি। এ সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, ডাকযোগে ই-মেইলে হবে না। সব কাগজপত্র অনলাইনে করা লাগবে।

মো. জহিরুল ইসলাম আরো জানান, পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট অনলাইনে আবেদন করেছি। যার আবেদন আইডি এস-৬৫৯২০২২৩৮। কিন্তু আজ এক বছর পার হলেও এরও কোনো খবর নাই। আমার অসুস্থ বাবার একটাই আকুতি অবসর ভাতার টাকাটা যেন দ্রুত পায়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে বয়োবৃদ্ধ মিজানুর ও তার পরিবারের সদস্যরা।
 

দিনবদলবিডি/এইচএআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়