কোটা আন্দোলন: ২০১৮ থেকে ২০২৪
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস করে ২৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার, যাতে সব গ্রেডের নিয়োগে কোটা থাকছে মোট ৭ শতাংশ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেধাভিত্তিক ৯৩% মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫% ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ১% শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১%।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নির্ধারিত কোটায় যাগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য পদ সাধারণ মেধা তালিকা থেকে পূরণ হবে। এছাড়া রায়ে বলা হয়, “এই নির্দেশনা ও আদেশ প্রদান সত্ত্বেও সরকার প্রয়োজন ও সার্বিক বিবেচনায় এই আদালত কর্তৃক নির্ধারিত কোটা বাতিল, সংশোধন বা সংস্কার করতে পারবে।”
এর আগে কোটা বাতিলের দাবিতে ২০১৮ সালে আন্দোলনের পর একটি পরিপত্র জারি করে সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটায় নিয়োগ বাতিল করে সরকার। তবে ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার কয়েকজন সন্তান রিট করলে হাইকোর্ট শুনানির পর এই বছরের ৫ই জুন সরকারের ওই পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্ট এবারের কোটা নিয়ে যে রায় দিয়েছে তাতে ৭ শতাংশ রাখলেও সরকার ইচ্ছে করলে যে কোনো সেক্টরে বাড়াতে এবং কমাতে পারবে। এই সুযোগ ২০১৮ সালে ছিলো না। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বয়সও আগামী ৫ বছর পরে আর থাকবে না। ফলে সরকার ওই খাতে চাহিদামত বাদ পড়াদের যুক্ত করতে পারবে।
এছাড়া দেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যেকোনো অনগ্রসর গোষ্ঠীকে কোটা সুবিধার আওতায় আনতে পারবে সরকার, কোনোরকম বিড়ম্বনা বা বিলম্ব এড়িয়েই। সব মিলিয়ে এবারের কোটা সংস্কার যথাযথ হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
দিনবদলবিডি/Anamul