অবসান হচ্ছে ফেরি পারাপারে ‘দুর্বিষহ’ অপেক্ষার
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার মাওয়া পয়েন্টে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এর পরের দিন পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল করবে। মুক্তি মিলবে ফেরি পারাপারের ‘দুর্বিষহ’ অপেক্ষার।
শনিবার উন্মুক্ত হলেও ওই দিনই পদ্মা সেতু পার হওয়ার সুযোগ মিলছে না। সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে রবিবার ভোরে। সেই দিনটার জন্য রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা দক্ষিণাঞ্চলের লাখো যাত্রীর।
ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন শাহ আলম। পারিবারিক কাজে তিন দিনের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী এসেছিলেন তিনি। শনিবার তাঁকে কাজে যোগ দিতে হবে। তাই আগেভাগে ঢাকায় ছুটছেন। ছুটির এক দিন হাতে রেখে ঢাকায় যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাসে করে ফেরি পার হয়ে ঢাকায় যেতে যে পরিমাণ ঝক্কি, তাতে এক দিন বিশ্রাম না নিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার অবস্থা থাকে না, খুব ক্লান্তি লাগে।’
ওখানকার চা–দোকানি মনিরুল বলেন, ‘দৌলতদিয়া ঘাটে পাঁচ কিলোমিটার গাড়ির লাইন, যায়ে দেকভেন আনে।’ তার কথায় মনটা দমে গেল। ফেরির প্রসঙ্গ ভুলে থাকতে খাবার হোটেলের মালিক মনিরুলের সঙ্গে আলাপ শুরু করি। পদ্মা সেতু চালু হলে ব্যবসায় তো মন্দা যাবে নাকি? এ প্রশ্নে মনিরুল বিষণ্ন মুখে বলেন, ‘করনের তো কিছু নাই। দক্ষিণবঙ্গের গাড়িগুলান আর এই পথের চলবে না। বেচাকিনি তো কমবেই।’
এই নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও এখনো বিকল্প কিছু ভাবেননি মনিরুল। তার সঙ্গে কথা শেষে বাসে উঠতেই আলাপ হলো চালক আবদুল হালিমের সঙ্গে। পদ্মা সেতু চালু হলে তাঁদের বাসগুলো এই পথে চলবে কি না, জানতে চাইলে আবদুল হালিম বলেন, ‘আমার বাড়ি ময়মনসিংহ। ইচ্ছা আছে ওই লাইনের গাড়িতে উঠমু। এই লাইন তো মন্দা অইবো।’
শফিকুল নামে অরেক চাকরিজীবী বলেন, শেষবারের মতো ফেরি পার হয়ে ঢাকায় আসার যে ধকল গেল আজ, তা সারা জীবন মনে রাখবেন আমাদের বাসের যাত্রীরা। আমার নিশ্চয়ই এই স্মৃতি মনে পড়বে কখনো কখনো পদ্মা সেতু পার হতে হতে।
দিনবদলবিডি/Rony