টয়লেটের পানির তৈরি বিয়ার প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিঙ্গাপুরে!

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ রাত ০৮:৪৬, শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২, ৪ ভাদ্র ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়টি দেশটির ন্যাশনাল ওয়াটার এজেন্সি (পাব) এবং স্থানীয় ক্রাফ্ট ব্রিউয়ারি ব্রুয়ার্কজ এর সমন্বিত,,,

নিউব্রিউ (NEWBrew) নামের বিয়ারটি বাজারে নতুন হলেও সাধারণ কোনো বিয়ার নয়। সিঙ্গাপুরিয়ান এই বিয়ারটির বিশেষত্বই হচ্ছে, এটি পুনর্ব্যবহার উপযোগী করে নর্দমা তথা টয়লেটের পানি দিয়ে তৈরি!

অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়টি দেশটির ন্যাশনাল ওয়াটার এজেন্সি (পাব) এবং স্থানীয় ক্রাফ্ট ব্রিউয়ারি ব্রুয়ার্কজ এর সমন্বিত উদ্যোগে তৈরি বলে জানায় এনডিটিভি।

২০১৮ সালে একটি পানি সম্মেলনে বিয়ারটি প্রথম উন্মোচন হয়েছিল। সে বছরের এপ্রিল মাসে সুপারমার্কেট এবং ব্রুয়ার্কজ এর আউটলেটে বিয়ারটির বিক্রি শুরু হয়।

‘আমি বুঝতেই পারিনি এটি টয়লেটের পানি দিয়ে তৈরি’- চিউ ওয়েই লিয়ান (৫৮) নামের একজন ব্যবহারকারী তার বিয়ার পানের অনুভূতির কথা বলছিলেন।

‘এটা ফ্রিজে থাকলে আমার কোনো আপত্তি নেই। এটার স্বাদ পুরোপুরি বিয়ারের মতো এবং আমি বিয়ার খুব পছন্দ করি।’

নতুন বিয়ারটি পানির টেকসই ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার করার গুরুত্ব সম্পর্কে সিঙ্গাপুরবাসীদের শিক্ষিত করার প্রচেষ্টার অংশ বলে জানিয়েছে পাব।

পয়ঃনিষ্কাশন প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পানীয় প্রস্তুতের ধারণা সমালোচনার মুখে পড়লেও গত দশকে সমর্থন লাভ করে। কারণ বিশ্বে স্বাদু পানির সরবরাহ ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড অনুমান করে জানিয়েছে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন মানুষ বছরে অন্তত একমাস পানির অভাব অনুভব করে।

ইসরায়েল এবং সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত অর্থনীতি যাদের সীমিত তাজা জলের সংস্থান রয়েছে তারা ইতোমধ্যে তাদের সরবরাহে প্রযুক্তিটি অন্তর্ভুক্ত করেছে। লস অ্যাঞ্জেলেস এবং লন্ডনের মতো শহরগুলো এটি অনুসরণ করার পরিকল্পনা পরীক্ষা করছে।

সিঙ্গাপুরের বিয়ার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি অতিবেগুনী রশ্মি দিয়ে নর্দমাকে জীবাণুমুক্ত করে এবং দূষিত কণা অপসারণের জন্য উন্নত ঝিল্লির মধ্য দিয়ে তরল প্রেরণ করে তারপর সেটিকে ব্যবহার করে।ব্রুয়ার্কজ

প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করে জনসাধারণকে বোঝানো একবার পানি প্রক্রিয়া করা হলে, এটি কেবলই পানি।

যারা বিয়ারটি পান করেছেন তারা বলছেন, এটি একটি সতেজ, হালকা স্বাদের অ্যাল যা সিঙ্গাপুরের মতো গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুর জন্য উপযুক্ত।

আপনি যদি লোকেদের না বলেন যে এটি বর্জ্য জল থেকে তৈরি, তারা সম্ভবত জানবে না বলে জানান গ্রেস চেন (৫২)।

আপনি যদি সিঙ্গাপুরে থাকেন এবং বিয়ারটির স্বাদ গ্রহণ করতে চান তবে আপনাকে দ্রুততম সময়ে এটি সংগ্রহ করতে হবে। 

ব্রিউয়ার জানায়, বাজারে এই পণ্যটির বিষয়ে ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তীতে এটি বাজারে আনা হবে কিনা!

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়