প্রথমবার মাছের রেণু রপ্তানি করল বাংলাদেশ

দিনবদলবিডি ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৫০, বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২, ১০ ভাদ্র ১৪২৯
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে এই প্রথম মাছের রেণুর একটি বড় চালান ভারতে রপ্তানি হয়েছে…

বাংলাদেশ থেকে এই প্রথম মাছের রেণুর একটি বড় চালান ভারতে রপ্তানি হয়েছে।

বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এক লাখ পিসের পাঙাশ মাছের রেণুভর্তি একটি পিকআপভ্যান বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।

মাছের রেণু রপ্তানিতে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা যেমন আসবে তেমনি দেশীয় হ্যাচারিতে মাছের পোনা উৎপাদন বৃদ্ধি ও মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে বলে মনে করছেন বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে এর আগে শুধু হিমায়িত মাছ ভারতে রপ্তানি হতো। তবে হিমায়িত মাছের পাশাপাশি  ভারতে বিশেষ করে পাঙাশ মাছের রেণুর প্রচুর চাহিদা থাকলেও রপ্তানির অনুমতি ছিল না। এতে সীমান্তপথে কোটি কোটি মাছের রেণু পাচার হতো। এতে যেমন অবৈধ অর্থ লেনদেন হতো তেমনি সরকার বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ থেকে বঞ্চিত হতো। এখন রপ্তানির অনুমতিতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড যেমন কমবে তেমনি সরকারের ঘরে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণে ভূমিকা রাখবে। মাছের রেণুর রপ্তানিকারক যশোরের শার্শার জনতা ফিস ও আমদানিকারক কলকাতার পি আর ফুডস।

প্রথম চালানে প্রতি কেজি ৯ ডলার ৭০ সেন্ট মূল্যে ১ লাখ পাঙাশের রেণু ভারতে রপ্তানি হয়েছে। প্রথম চালান ভারতে প্রবেশের মধ্য দিয়ে মাছের রেণু রপ্তানির দরজা খুলল। মাছের রেণু রপ্তানি সুযোগ দেওয়ায় সরকার ও ব্যবসায়ী সবাই লাভবান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রেণু রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জনতা ফিসের স্বত্বাধিকারী কুদ্দুস আলী বিশ্বাস জানান, মাছেরে রেণু রপ্তানির সুযোগে দেশের হ্যাচারিশিল্প আবার জেগে উঠবে। দুই দেশের সরকারকে অনেক ধন্যবাদ।

মাছের হ্যাচারি মালিক শায়েস্তা খান জানান, বর্তমানে দেশে বেসরকারি পর্যায়ে মাছের রেণু উৎপাদনের জন্য প্রায় ৭০০ হ্যাচারি আছে। ভারতে মাছের রেণু রপ্তানিতে এসব হ্যাচারি বড় ভূমিকা রাখবে।

যশোরের শার্শা উপজেলার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, বৈধপথে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টিতে সীমান্তপথে কোটি কোটি টাকার মাছের রেণু পাচার বন্ধ হবে।

বেনাপোল আমদানি রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি  আমিনুল হক জানান, মাছের পোনা রপ্তানিতে বেশি বেশি বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসবে। মাছ উৎপাদনে চাষিরা আরো উৎসাহিত হবেন।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আবদুল জলিল জানান, মাছের রেণু রপ্তানিতে দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। রপ্তানি বাণিজ্য সব ধরনের সহযোগিতা দ্রুততার সঙ্গে করা হয়েছে।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়