মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোনার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১১:২৬, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ২৯ ভাদ্র ১৪২৯
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে দুর্গাপুরের চন্ডিগড় ইউনিয়নের…

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরের খলিলুর রহমানের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

এর আগে গত রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার দিন ঠিক করে আদেশ দেন। তারই আলোকে এই রায় ঘোষণা করা হয় মঙ্গলবার।

এর আগে গত ১৮ জুলাই মামলায় রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করা হয়। আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।

২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলার আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। শুরুর দিকে এ মামলায় ৫ জন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

বাকি ৪ জনের মধ্যে দুর্গাপুর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আসামি খলিলুর রহমানের ভাই আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তোরাব আলীর ছেলে আশক আলী এবং জানিরগাঁও ইউনিয়নের মৃত কদর আলীর ছেলে মো. শাহনেওয়াজ বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুবরণ করেন।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণচেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণচেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দুজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪ থেকে ১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং সাত বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে দুর্গাপুরের চন্ডিগড় ইউনিয়নের আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হন। বর্তমানে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়