২০২৬ সালে দেশের রপ্তানি আয় দাঁড়াবে ১০০ বিলিয়ন ডলারে
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
গত বছর প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলারের পন্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হবে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৬ সালে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে…
গত বছর প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলারের পন্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হবে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৬ সালে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের মোট রপ্তানি আয়ে তৈরি পোশাক প্রায় ৮২ ভাগ অবদান রাখছে। পাশাপাশি আইসিটি, লেদার, প্লাস্টিক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাটসহ প্রায় ১০টি পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলোর রপ্তানি দিনদিন বাড়ছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ মিলনায়তনে ওভারসিস করেসপনডেন্ট অব বাংলাদেশ (ওকাব) আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ২০২৬ সালে তা কার্যকর হবে, এরপর আরো তিন বছর পর অর্থাৎ ২০২৯ সাল থেকে আমরা আর এলডিসিভুক্ত দেশের বাণিজ্য সুবিধা পাব না। তখন থেকে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই বিশ্ববাণিজ্য করতে হবে।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে রপ্তানি বাণিজ্যের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য কাজ শুরু করেছে। আমরা ভূটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করেছি। আরো বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএ’র মতো বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের জন্য গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা চলছে। শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির কারণে চীন এবং ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ব্যবধান সবচেয়ে বেশি। চীন বাণিজ্য ব্যাবধান কমাতে ৯৯ ভাগ পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সেপা চুক্তি করার জন্য কাজ চলছে। দেশের অর্থনীতির ভিত্তি শক্ত রাখার জন্য রপ্তানি বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আমাদের আরো সম্ভাবনা রয়েছে। মিয়ানমার বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল, তাদের তৈরি পোশাক খাত প্রায় বন্ধ। চীন তৈরী পোশাক শিল্প রিলোকেট করছে। ফলে আমাদের সম্ভাবনা আরো বেড়েছে। আমাদের দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, উৎপাদন খরচ কম। তৈরি পোশাক শিল্পে গ্রিণ ফ্যাক্টরি এখন বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। ফলে রপ্তানি বাণিজ্যে আমাদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
দিনবদলবিডি/Rony