চঞ্চল বা অবাধ্য বাচ্চাকে শান্ত করার উপায়
লাইফস্টাইল ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
কিন্তু কিভাবে সেটি সম্ভব? আজকের প্রতিবেদনে সেই সম্পর্কেই জানানো হবে। চলুন তাহলে…
প্রত্যেক মা-বাবার কাছেই তাদের সন্তান খুব আদরের। কিন্তু সে যদি চঞ্চল বা অবাধ্য হয়, দুঃখের শেষ থাকে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোটো থেকেই সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করতে নিতে হবে উপযুক্ত পদক্ষেপ। তবেই সে একজন দায়িত্ববান ব্যক্তি হবেন।
কিন্তু কিভাবে সেটি সম্ভব? আজকের প্রতিবেদনে সেই সম্পর্কেই জানানো হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক-
> আচার আচরণে বদল আনা চলবে না
নিত্যদিন বাচ্চার সঙ্গে আলাদা আলাদা আচরণ করা চলবে না। যেমন, একদিন শিশুকে অনেকক্ষন টিভি দেখতে দেওয়া হলে, পরের দিন বেশি করে টিভি দেখার অনুমতি দিলে সেই নিয়ম শিশুটি মানবে না। তাই নিয়ম মেনে চলতে হবে।
> সমালোচনা করা যাবে না:
চঞ্চল বাচ্চাকে শান্ত করার উপায় হলো অন্য কারো সঙ্গে তার তুলনা করে তাকে অপমান করা যাবে না। এতে সন্তানের বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে যেতে পারে। তাই অভিভাবকের যদি এমন স্বভাব থাকে তা বদলে ফেলাই শ্রেয়। না হলে সন্তান আরো অবাধ্য হয়ে উঠবে।
> একই কথা বারংবার বলা যাবে না
একটি কথা বার বার বললে তার গুরুত্ব কমে যায়। তাই ১ বার বলাই ভালো। না শুনলে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে, তবে কঠোরভাবে নয়। এটা চঞ্চল বাচ্চাকে শান্ত করার উপায় হিসেবে ভাবা যেতে পারে।
> স্বাধীনতা দিতে হবে
শিশুকে সব সময় নিজের কথা শুনতে বাধ্য করা ঠিক নয়। যেমন, তাকে নিজের পছন্দমত জামাকাপড় বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া, পছন্দমত খেলা বেছে নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। ফলে ধীরে ধীরে চঞ্চল বাচ্চাকে শান্ত করা যায়।
> কড়া শাসন নয়
একটু অবাধ্য হলেই কড়া শাসন করা যাবে না। এতে সন্তানের মনে উল্টো প্রভাব পড়তে পারে। তার চেয়ে ছোটখাটো ভুল করলে একটু বন্ধুর মতো বোঝানো যেতে পারে।
দিনবদলবিডি/আরএজে