খালেদা জিয়ার ১১ মামলার শুনানি ২৩ জানুয়ারি

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:০৪, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৫ আশ্বিন ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগসহ ১১ মামলার শুনানির তারিখ আবার পিছিয়েছে। এই শুনানি হবে আগামী ২৩ জানুয়ারি…

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগসহ ১১ মামলার শুনানির তারিখ আবার পিছিয়েছে। এই শুনানি হবে আগামী ২৩ জানুয়ারি।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) কেরাণীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে স্থাপিত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান শুনানি মুলতবি করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল। বিভিন্ন অজুহাতে দাখিল করা পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুলতবি করা হয়।

মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির কথা ছিল। অপর ১০ মামলায় চার্জ গঠনের শুনানি ছিল।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি বাসে পেট্রল বোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম নামের এক যাত্রী।

ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপ-পরিদর্শক এসআই কে এম নুরুজ্জামান। ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ।

২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।

২০১৭ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। সাজার বিরুদ্ধে আপিল করলে উচ্চ আদালত অক্টোবরে সাজা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে।

অক্টোবরেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাজা হয় ৭ বছর।

দুই বছরেরও কিছু বেশি সময় কারাগারে থাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন বিএনপি নেত্রী। সাময়িক এই মুক্তির মেয়াদ ছিল ৬ মাস। পরে ধাপে ধাপে তা আরও ছয় দফা বাড়ানো হয়।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়