মেহেদিরাঙা হাতেই চিরবিদায় নিতে হলো দিতিকে
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
এক সপ্তাহ আগে বিয়ে হয়েছিল দিতি বেগমের (১৮)। হাতের মেহেদির রং এখনো গাঢ়। ঈদের পর তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্বশুরবাড়িতে নেওয়ার কথা। কিন্তু প্রতিবেশী এক যুবকের দায়ের কোপে তা আর হলো না।
গতকাল বুধবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি।
ঘটনাটি শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের কালিনগর মহল্লার। দিতি বেগম নামের ওই নববধূ কালিনগর মহল্লার চাতালশ্রমিক মুছা মিয়ার মেয়ে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুহুল আমিন (২৫) নামের প্রতিবেশী এক তরুণ পুলিশের কাছে এসে আত্মসমর্পণ করেছেন।
এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দিতির বাবা মুছা মিয়া বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দিতি বেগমের সঙ্গে উপজেলার চেল্লাখালী গ্রামের খায়রুল ইসলামের (২৬) বিয়ে হয়। খায়রুল কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন। এ জন্য ঈদের পর আনুষ্ঠানিকভাবে দিতিকে শ্বশুরবাড়ি নেওয়ার কথা ছিল। প্রতিবেশী রুহুল আমিন দিতিকে পছন্দ করতেন। দিতির বিয়ে মানতে না পেরে গতকাল রাত ৯টার দিকে তিনি একটি বঁটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর দিতির ঘরে গিয়ে তার মাথায় কোপ দেন। দিতির মা চিৎকার দিলে পালিয়ে যান রুহুল।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বলেন, আসামি রুহুল আমিন ওই তরুণীকে ভালোবাসত বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছেন। প্রতিহিংসা থেকেই তাকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। আজ নিহত তরুণীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত যুবকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করতে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দিনবদলবিডি/Rony