কারাগারে অন্যের পরিচয়ে চাকরি, বঞ্চিতের আবেদনে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:০২, বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২, ২৪ কার্তিক ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

চাকরির জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হওয়ার পরেও চাকরিতে যোগদান করতে না পারা এক ভুক্তভোগীর রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের…

কারাগারে একজনের পরিবর্তে অন্যজনের চাকরি করাসহ নিয়োগে অনিয়মে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চেয়ে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কারা মহাপরিদর্শকের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে এসব অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতেও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

চাকরির জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হওয়ার পরেও চাকরিতে যোগদান করতে না পারা এক ভুক্তভোগীর রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

কারারক্ষী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করেও চাকরিবঞ্চিত মৌলভীবাজারের জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি রিটটি করেন।

জহিরুলের রিটে ‘আরেকজনের নাম-পরিচয়ে চাকরি, ১৮ বছর পর তদন্ত’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনসহ গণমাধ্যমে আসা একাধিক সংভাদ যুক্ত করা হয়।

১৮ বছর ধরে চাকরিবঞ্চিত জহিরুল চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক বরাবর তার প্রাপ্য চাকরিতে যোগদানের বিষয়ে একটি আবেদন দেন। এতে সারা না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবুল কালাম। গতকাল (মঙ্গলবার) শুনানিতে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, রিট আবেদনকারীর (জহিরুল) পরিবর্তে ১৮ বছর ধরে আরেকজন চাকরি করছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। নিয়োগ পাওয়া ৮৮ কর্মচারীর (কারাগার) মধ্যে ৩ জন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অন্যের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে ছদ্মবেশে চাকরি করে আসছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে। তবে তাদের মধ্যে দুজনকে অপসারণ করা হয়েছে, একজন এখনও চাকরিতে আছেন।

জহিরুলের আবেদনটি দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৩ সালে কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন জহিরুল। উত্তীর্ণ হওয়ার পর তার ব্যাপারে পুলিশি যাচাইও (ভেরিফিকেশন) হয়েছিল।

কিন্তু যোগদানপত্র পাননি তিনি। চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা শুরু করা জহিরুল ১৮ বছর পর জানতে পারেন, তার নাম-পরিচয় ব্যবহার করে একই পদে চাকরি করছেন আরেক ব্যক্তি।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়