বিয়ানীবাজারের পরিত্যক্ত কূপ থেকে দৈনিক মিলবে কোটি ঘনফুট গ্যাস

সিলেট সংবাদদাতা || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৫০, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২, ২৫ কার্তিক ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত ১ নম্বর কূপ খনন করে গ্যাসের মজুত পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)

সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত ১ নম্বর কূপ খনন করে গ্যাসের মজুত পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। বৃহস্পতিবার সকালে এই কূপে গ্যাসের মজুত থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হয় বাপেক্স।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের এক কর্মকর্তা জানান, শিগগিরই এ কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে। প্রতিদিন সেখান থেকে ১০ মিলিয়ন (১ কোটি) ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর এই কূপে খনন শুরু করে বাপেক্স।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অধীন বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে দুটি কূপ রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়।

ফের ২০১৬ সালের শুরুতে উৎপাদন শুরু হয়ে আবার ওই বছরের শেষের দিকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা এই কূপে চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আবার খননকাজ শুরু হয়।

খননকাজের শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল, এ কূপ থেকে প্রতিদিন ৭ মিলিয়ন বা ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস মিলতে পারে, তবে খনন শেষে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ কূপ থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শাহিনুর ইসলাম বলেন, এখানে প্রতিদিন ৫ মিলিয়ন (৫০ লাখ) ঘনফুট গ্যাস মিলতে পারে, তবে এখন মনে হচ্ছে আরো বেশিই পাওয়া যাবে।

গ্যাসের জন্য খ্যাতি রয়েছে সিলেটের। ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। এরপর আবিষ্কৃত হয় আরো বেশ কিছু গ্যাসক্ষেত্র।

দেশে বর্তমানে ২৮টি আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বর্গফুট (টিসিএফ)। আরও ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুত।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়