হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:২৮, রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২, ২৮ কার্তিক ১৪২৯
তার সৃষ্টি হিমু ও মিসির আলী চরিত্রে আজও বুদ হয়ে আছে পাঠক ও ভক্তরা

তার সৃষ্টি হিমু ও মিসির আলী চরিত্রে আজও বুদ হয়ে আছে পাঠক ও ভক্তরা

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন…

 

আজ ১৩ নভেম্বর (রবিবার) নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতে তার সাবলীল বিচরণ ছিল। ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ তথা সব ক্ষেত্রেই তার লেখনি বাংলা সাহিত্যে ভিন্নমাত্রা দিয়েছিল। এজন্যই বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাহিত্যিক বলা হয় তাকে।

বাংলাদেশের শোবিজেরও একজন অগ্রগামী দিশারী ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। নাটক, চলচ্চিত্র রচনা ও পরিচালনায় তিনি দেশে আলাদা একটি ধারার প্রচলন ঘটিয়েছেন।

এই কথাসাহিত্যিক জন্মেছিলেন ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কুতু্বপুরে। সে হিসেবে আজ তার ৭৪তম জন্মদিন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন।

শিল্প ও সাহিত্যের সব শাখাতেই সফল এই ব্যক্তিত্বের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশ হয় ১৯৭২ সালে। এরপর তার রচিত ৩ শতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ‘আগুনের পরশমণি’ ছবিটি পরিচালনার মধ্য দিয়ে ১৯৯৪ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর একে একে তার নির্মাণে মুক্তি পায় ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ (২০০০) ও ‘দুই দুয়ারী’ (২০০১) ‘চন্দ্রকথা’ (২০০৩), ‘শ্যামল ছায়া’ (২০০৪), ‘৯ নম্বর বিপদ সংকেত’ (২০০৬) ‘আমার আছে জল’ (২০০৮) ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ (২০১২)।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।

হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, ছেলে নিষাদ ও নিনিত

হুমায়ূন আহমেদ বিশেষ করে সাহিত্যে গভীর প্রভাব ফেলেছেন। বিশেষ করে তার সৃষ্টি হিমু ও মিসির আলী চরিত্রে আজও বুদ হয়ে আছে পাঠক ও ভক্তরা। তার হাত ধরে শোবিজেও অনেক অভিনয় ও সঙ্গীতশিল্পী প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন অভিনয়, নৃত্যের পাশাপাশি পরিচালক হিসেবেও প্রশংসিত। তার বড় ছেলে নুহাশ হুমায়ূনও সম্প্রতি নাটক নির্মাণে নাম লিখিয়েছেন।

২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে হুমায়ূন আহমেদ ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। ২৪ জুলাই নন্দিত এই লেখকের প্রিয় জায়গা নুহাশ পল্লীতে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

নুহাশপল্লীতে জন্মদিনে নানা আয়োজন

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালীতে অবস্থিত তার হাতে গড়া প্রিয় নুহাশপল্লীতে জন্মদিন উদযাপন করা হবে।

জানা গেছে, লেখকের জন্মদিন উপলক্ষে নুহাশপল্লীর উদ্যোগে সকালে কেক কাটা ও রাতে এক হাজার চুয়াত্তরটি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হবে। শনিবার (১২ নভেম্বর) রাত থেকেই হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশপল্লীতে অবস্থান করছেন। আজ (রবিবার, ১৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় তারা হুমায়ূন আহমেদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। কবরের পাশে দোয়া ও ফাতেহা পাঠ শেষে নুহাশপল্লীর হোয়াইট হাউসের সামনে জন্মদিনের কেক কাটা হবে।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়