বিশ্ব পুরুষ দিবসে ‘প্রিয় পুরুষ মানুষটিকে’ কিছু উপহার দিতে পারেন

দিনবদলবিডি ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৩১, শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৯
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

১৯৯৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উদযাপন শুরু হয়। উদযাপনের মাধ্যমগুলোর আছে উপহার দেওয়া, পাবলিক…

আজ ১৯ নভেম্বর (শনিবার) বিশ্ব পুরুষ দিবস। উল্লেখ্য, নারী দিবসের কথা সবার জানা। কিন্তু, পুরুষ দিবসও যে আছে তা অনেকেই জানেন না। আবারও জানলেও সেটা ঘটা করে উদযাপন করা হয় না।

তাই চাইলেই আপনার প্রিয় পুরুষ মানুষটিকে আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস উপলক্ষে কিছু উপহার দিতে পারেন। তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন আপনি কতোটা পছন্দ করেন তাকে।

শুরুর বছরগুলোতে পুরুষ দিবস ক্যারিবীয় অঞ্চলে দারুণ সমর্থন পেয়েছিল। ক্যারিবীয় এই উদ্যোগটি এখন সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা, হাইতি, জ্যামাইকা, হাঙ্গেরি, মাল্টা, ঘানা, মলদোভা, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয়। দিন দিন দিবসটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

১৯৯৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উদযাপন শুরু হয়। উদযাপনের মাধ্যমগুলোর আছে উপহার দেওয়া, পাবলিক সেমিনার, ফোরাম, সম্মেলন, পুরুষদের স্বাস্থ্য ইভেন্ট, রেডিও ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মিছিল, সংগীত কনসার্ট এবং শিল্প প্রদর্শনী।

আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে পুরুষের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। পুরুষদের অন্যদের সঙ্গে মিশতে ও যোগাযোগ করতে উত্সাহিত করা হয়। তাই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস একজন পুরুষকে ভালো মানুষ হওয়ার মূল্যবোধ, চরিত্র এবং দায়িত্বের প্রতি উত্সাহিত করতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ বছরের কম বয়সী পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ঘটছে। পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা বিষণ্নতায় বেশি ভোগেন। কিন্তু, পুরুষের আত্মহত্যার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই পুরুষের মাঝে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে ও মানসিক সুস্থতার জন্য পুরুষ দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ।

এটা মনে রাখতে পুরুষ দিবসের উদ্দেশ্য নারী দিবসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা নয়। বরং পুরুষের সামাজিক অভিজ্ঞতাকে সবার কাছে তুলে ধরা এই দিবসের উদ্দেশ্য। তাই সচেতনতা বাড়াতে দিবসটি উদযাপন করা যেতে পারে।

এদিকে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উপলক্ষে দেশে জাতীয় পুরুষ সংস্থার উদ্যোগে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণজমায়েতে ‘জাতীয় পুরুষ সংস্থা’র পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি পেশ করা হয়।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এখান থেকে জাতীয় পুরুষ সমাজ তাদের অধিকার এবং পুরুষ নির্যাতন আইন প্রণয়নের বিষয়ে জোর দেন।

সংগৃহীত

গণজমায়েতে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুণ-অর-রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন লালবাগ যুব জাগরণ সংঘের আহ্বায়ক মো. বিল্লাল হোসেন, সমাজকর্মী অলোক চৌধুরীসহ প্রমুখ।

জাতীয় পুরুষ সংস্থার দাবি-

মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়কে সংশোধন করে পুরুষ ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় করতে হবে। মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হওয়ার পর রাষ্ট্র ভিকটিমকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সব পুরুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। নির্যাতন আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করতে হবে। মোহরানার নামে অতিরিক্ত মোহর ধার্য করা বন্ধ করতে হবে। স্বামীর অধীনে না থেকে খোরপোষ আদায় বন্ধ করতে হবে। জাতীয় পুরুষ কমিশন গঠন করতে হবে।  পুরুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নজর দিতে হবে। পুরুষের প্রতি সব ধরনের বৈষম্যমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। সব পুরুষ সংগঠনকে মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত করতে হবে।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়