রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে যে দোয়া শিক্ষা দিলেন জিবরাঈল (আ.)

ধর্ম ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:০৫, শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

একদা এক রাত্রিতে ইবলিসের দলবল রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর হামলা চালানোর…

একদা এক রাত্রিতে ইবলিসের দলবল রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর হামলা চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গল ও বিভিন্ন পাহাড়-পর্বত হতে নেমে জমায়েত হয়েছিল। তাদের মধ্যে এক জনের হাতে বিরাট অগ্নিশিখা ছিল; রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর আক্রমণ করার উদ্দেশে। জিবরাঈল (আ.) এ সংবাদ নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট পৌঁছেছিলেন এবং বললেন, আপনি এই দোয়া পাঠ করুন।

জিবরাঈল (আ.)-এর শিক্ষা দেওয়া দোয়া রাসূলুল্লাহ (সা.) পড়তে থাকলেন; ফলে ওই অগ্নিশিখা নিভে গেল এবং তাদের আক্রমণ রহিত হয়ে গেল।

দোয়াটি-

أعُوذُ بِكَلِمَـاتِ اللـهِ التَّامَّاتِ الَّتِي لا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ، وبَرَأَ وذَرَأ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيهَا، وَمِنْ شَرِّ مَا ذَرَأَ فِي الأرْضِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا، وَمِنْ شَرِّ فِتَنِ اللَّيْلِ والنَّهَارِ، ومِنْ شَرِّ كُلِّ طَارِقٍ إلاَّ طَارِقاً يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَارَحْمـنُ

আরবি উচ্চারণ: ‘আ'ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তিল্লাতী লা ইউজা-উইযু হুন্না বার্রুউঁ ওয়ালা ফা-জিরুম্ মিন শাররি মা খালাক্বা ওয়া বারায়া ওয়া যারায়া ওয়া মিন শাররি মা ইয়ানযিলু মিনাস সামা-য়ি ওয়া মিন শাররি মা ইয়া'রুজু ফীহা ওয়ামিন শাররি মা যারায়া ফিল আরযি ওয়া মিন শাররি মা ইয়াখরুজু মিনহা ওয়ামিন শাররি ফিতানিল লাইলি ওয়ান্ নাহা-রি ওয়ামিন শাররি কুল্লি ত্বারিক্বিন ইল্লা ত্ব-রিক্বাই ইয়াতরুক্বু বিখাইরিই্য ইয়া রাহমানু।’

অর্থ : আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাক্যাবলির, যেগুলোকে অতিক্রম করতে পারে না কোনো পুণ্যবান বা কোনো পাপী, তিনি যা কিছু সৃষ্টি করেছেন, বানিয়েছেন ও ছড়িয়ে দিয়েছেন তার অনিষ্ট থেকে, যা কিছু আসমান থেকে অবতরণ করে তার অনিষ্ট থেকে, যা কিছু আসমানে উঠে তার অনিষ্ট থেকে, যা কিছু যমিনে সৃষ্ট-ছড়ানো তার অনিষ্ট থেকে, যা কিছু যমিন থেকে বের হয় তার অনিষ্ট থেকে, রাত ও দিনের অনিষ্ট থেকে এবং সকল আগন্তুকের অনিষ্ট থেকে, শুধু যে আগন্তুক কল্যাণ-সহ আগমন করে সে ব্যতীত, হে মহা-দয়াময়!

সূত্র:

১. মুহাম্মাদ ইবনু আবিল ‘ইয্য আদ-দিমাশ্ক্বী, শারহু ‘আক্বীদাতিত ত্বহাউইয়্যাহ পৃ.১৮৯ (মুহাদ্দিস শু‘আইব আরনাউত্ব এর সনদকে সহীহ বলেছেন)।

২. আলবানী, সহীহুল জামি’ হা/৭৪ ; সিলসিলাতুস সহীহাহ্ হা/২৯৯৫ (মুহাদ্দিস নাসিরুদ্দীন আলবানী সহীহুল জামি’ গ্রন্থে এর সনদকে সহীহ এবং সিলসিলাতুস সহীহাহ্ গ্রন্থে এর সনদকে হাসান বলেছেন)।

৩. ইবনু বায, মাজমূ’ ফাতাওয়া ৪/৩১৮।

৪. ইবনু তাইমিয়্যাহ, মাজমূ’উল ফাতাওয়া ২/৪৫৭ ; ফাতাওয়া আল-কুবরা ৩/১৬ ; আল-ফুরক্বান পৃ.১৫০ (ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ এর সনদকে সহীহ বলেছেন)।

৫. ইবনুল কাইয়্যিম, যাদুল মা‘আদ ৪/২৪০ ; ত্বিব্বুন নাবাউয়ী পৃ.১৩২।

৬. আবূ নু‘আইম আল-আসবাহানী, দালাইলুন নুবুওয়্যাত পৃ.১৯১।

৭. ইবনু কাসীর, জামি‘উল মাসানীদ ওয়াস সুনান হা/৬৯০৫।

৮. ইবনু আবী হাতিম, আল-‘ইলাল হা/২০৯৮।

৯. ইবনু ‘আব্দিল বার্র, আত-তামহীদ ২৪/১১৩।

১০. ড. সা‘ঈদ বিন ‘আলী বিন ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী, হিসনুল মুসলিম পৃ.১৪১-১৪২ (শাইখ আবুল ফাওযান কিফায়াতুল্লাহ সানাবিলী এর সনদকে হাসান বলেছেন)।

রেফারেন্স : আল্লামা আবূ মুহাম্মাদ ‘আলীমুদ্দীন নদীয়াভী (রহ.), কিতাবুদ দোয়া পৃ.১৯৪-১৯৫।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়