পাসের হার ও জিপিএ-৫ এ এগিয়ে ছাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৫১, সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৯
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৯৪৪ জন ছাত্রী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে…

গত বছরের মতো এবারও মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার এবং জিপিএ-৫ পেয়ে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা।

দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৬ জন।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৯৪৪ জন ছাত্রী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৩ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৬ ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এ বছর গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ৮৮ দশমিক ১০। আর মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ।

কোন বোর্ডে পাসের হার কত

ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৩ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৯১ দশমিক ২৮, দিনাজপুর বোর্ডে ৮১ দশমিক ১৪ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৯ দশমিক ০২ শতাংশ এবং যশোরে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

যেভাবে জানবেন ফল

মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ স্বরূপ: SSC DHA 123456 2022 লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের জন্য Dakhil লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণস্বরূপ: Dakhil MAD 123456 2022 পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। চলে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী ছিল।

এ ছাড়া মাদরাসা বোর্ডের ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী ছিল।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়